কেদারনাথ বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে চুঁচুড়ার পর্যটকরা, ভিডিও বার্তায় উদ্ধারের আবেদন
Connect with us

ভাইরাল খবর

কেদারনাথ বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে চুঁচুড়ার পর্যটকরা, ভিডিও বার্তায় উদ্ধারের আবেদন

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত তিনদিনের টানা মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নৈনিতাল সহ উত্তরাখণ্ড। একাধিক বাড়ি, রাস্তা ও সেতু ভেঙে পড়েছে। নেমেছে ধস। নৈনিতাল ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। বিপর্যস্ত জনজীবন। কেদারনাথ বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়ছেন হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ২৯ নং ওয়ার্ডের বুড় শীবতলার বাসিন্দা চুমকি রায় ও তাঁর পরিবার। দু’দিন ধরে জল, খাবার না পেয়ে সমস্যায় পরেছেন তাঁরা। স্থানীয় ভাবে কোনও সরকারী সাহায্য পাচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন আটকে থাকা পর্যটকরা। ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলছে ঝড়।

ফলে উদ্ধারকার্য বাধা পাচ্ছে।কেদারনাথে যে হেলিকপ্টার সার্ভিস ছিল, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার পর্যটক কেদারনাথে আটকে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। গত ১৫ অক্টোবর পূর্বা এক্সপ্রেসে রওনা হয়ে ১৭ তারিখ কেদারে পৌঁছান চুমকি রায় তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ রায় ও তাঁদের মেয়ে অন্বেষা। তাঁদের সঙ্গে আরও দু’জন পারিবারিক বন্ধু অরিজিৎ শীল ও সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন। ভারী বৃষ্টি আর ঝড় শুরু হতেই ধস নামতে শুরু করে পাহাড়ে। অরিজিৎ ও সত্যব্রত বাবু ঝুঁকি নিয়ে ধ্বসের আগে গৌরীকুন্ডে নেমে আসতে পারলেও চুমকিরা নামতে পারেননি। তাঁদের কেদার থেকে বদ্রীনাথ, গুপ্তকাশি হয়ে লক্ষ্ণৌ পৌঁছে ২৪ তারিখ ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, দূর্যোগে পড়ে সব পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। সেখানে আটকে পড়া পর্যটকদের খুবই খারাপ অবস্থা।

কেদারনাথে হড়পা বানে বহু মানুষের মৃত্যু আর ধ্বংসলিলার স্মৃতি এখনও টাটকা। তাই প্রাকৃতিক দূর্যোগ না কমা পর্যন্ত দুশ্চিন্তা বাড়ছে।ৎচুমকি রায়ের পারিবারিক বন্ধু দেবাশিষ কুন্ডু জানিয়েছেন, ‘ওরা নীচে নেমে না আসা পর্যন্ত উৎকন্ঠা বাড়ছে। যেদিন গেলো ফোনে কথা হল। বেশ আনন্দ করে কেদারে পৌঁছায়। তারপরই আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। কেদারনাথ মন্দিরের কাছে একটি কটেজে রয়েছে। তার প্রচুর ভাড়া। ওদের টাকা পয়সাও শেষ। হেলিকপ্টার চলছে না। আটকে পড়া পর্যটকরা উদ্ধারের জন্য সরকারী ও সেনার সাহায্য চাইছে।’ কেদার থেকে ভিডিও বার্তায় চুমকি রায় বলেছেন, ‘রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। চপার সার্ভিস বন্ধ। কীকরে নীচে নামতে পারব জানি না।সরকারী কোনও সাহায্য পাইনি। আমফানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।অনেকেই জীবনের ঝু্ঁকি নিয়ে গৌরীকুন্ডতে নেমে গিয়েছে। আমরা যেতে পারিনি। আজ রাত পর্যন্ত থাকতে হবে। কাল যদি হেলিকপ্টার চলে তাহলে নামতে পারব। কারণ হেঁটে নামা সম্ভব না।’

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.