Uncategorized
হেমতাবাদ বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত টোটো চালক ও এক মহিলা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হেমতাবাদ বাহারাইল বিস্ফোরণ কান্ডে অভিযুক্ত পলাতক টোটোচালককে আটক করল হেমতাবাদ থানার পুলিশ। আটক টোটো চালকের নাম রঞ্জন রায়। রবিবার ভোরে হেমতাবাদ থানার খাল বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা টোটো চালক রঞ্জন রায়কে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ থেকে পুলিশ আটক করে।
পার্সেল বিস্ফোরণ কান্ডে অভিযুক্ত টোটো চালক রঞ্জন রায়ের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা নিজেরাই পুলিশের কাজে সহায়তা করতে রঞ্জন রায়কে আত্মসমর্পণ করিয়েছেন। বাজেয়াপ্ত করা হয় রঞ্জনের টোটো। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে মূল অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। হেমতাবাদের বাহারাইলে বাবলু চৌধুরী নামে এক ওষুধের দোকানদারকে গত শুক্রবার বিকেলে একটি পার্সেল দেন টোটো চালক রঞ্জন রায়। সেই সময় তাঁর টোটোতে একজন মহিলাও ছিলেন বলে জানা যায়। টোটোচালক পার্সেল দিয়ে চলে যাওয়ার পরই সেই পার্সেল খুলতেই ঘটে বিস্ফোরণ।
বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাবলু চৌধুরী সহ তিনজন। বিস্ফোরণে জখম বাবলু চৌধুরী সহ তিনজনেই রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার পরই তদন্তে নামে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শনে আসেন উত্তরবঙ্গের আইজি দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং। এলাকার ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা একটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে টোটোটি। টোটোর মধ্যে যাত্রী হিসেবে থাকা এক মহিলাকে পুলিশ সনাক্ত করে তাঁকেও আটক করে। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ খোঁজ নেয় টোটো চালক রঞ্জন রায়ের।
শনিবার রাতেই পুলিশ টোটো চালক রঞ্জনের বাড়িতে গেলে জানতে পারে রঞ্জন তাঁর শ্বশুরবাড়ি রায়গঞ্জের পোকম্বায় আছেন। পুলিশ রঞ্জনের বাবা বিমল রায়কে সাথে নিয়ে রওনা হয় রঞ্জনকে আটক করতে। ওদিকে রঞ্জনও পোকম্বা থেকে হেমতাবাদ থানায় আত্মসমর্পণ করার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রবিবার ভোরে পথে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জে পুলিশ আটক করে টোটো চালক রঞ্জন রায়কে। বিস্ফোরণ কান্ডে প্রথম সফলতা আসে পুলিশের। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর টোটো। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলেই ধৃত টোটো চালক রঞ্জন রায়কে বিষ্ণুপুর এলাকায় একটি বাইকে থাকা দু’জন ব্যক্তি এসে বলে যে তাঁদের মোটরবাইকটি খারাপ হয়ে গিয়েছে।
টোটো চালক রঞ্জনকে ১০ টাকা হাতে দিয়ে একটি পার্সেল বাহারাইলে বাবলু চৌধুরীর দোকানে দিয়ে আসতে বলেন। টোটো চালক রঞ্জন সেইমতো পার্সেলটি নিয়ে বাহারাইলে বাবলু চৌধুরীর ওষুধের দোকানে দিয়ে দেন। পুলিশ ধৃত টোটো চালক রঞ্জনের বয়ান মতো দু’জন বাইক আরোহীর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। পুলিশের এই তৎপরতার প্রশংসা করে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা বাহারাইল বনধ তুলে নিলেন। ঘটনার দু’দিন পরে হেমাতাবাদের বাহারাইল গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় খুশী গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার সকাল থেকেই ব্যাবসায়ীরা তাঁদের দোকানপাট খুলেছেন।