বাংলার খবর
জেলে বসেই চলছিল তোলাবাজি! তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল-সিম-গাঁজা উদ্ধার পুলিশের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সংশোধনাগারে বসেই তৈরি হচ্ছিল তোলাবাজির ছক! সম্প্রতি চন্দননগর থানার পুলিশ খবর পায় সংশোধনাগারে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তোলাবাজি করা হচ্ছে। এরপরই গত শুক্রবার জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে হুগলি সংশোধনাগারে তল্লাশি অভিযান চালায় চন্দনগর পুলিশ। আর সেই তল্লাশি অভিযানে সংশোধনাগারের ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় মোবাইল ও মাদক। জানা গিয়েছে, বন্দিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচটি মোবাইল ফোন, কিছু সিম কার্ড এবং গাঁজা।
এই হুগলি সংশোধনাগারেই বন্দি রয়েছেন ভদ্রেশ্বর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়ের খুনিরা, চন্দননগরে গোল্ড লোনের অফিসে ডাকাতিতে অভিযুক্ত বিহারের দুষ্কৃতী দল, ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা দিলীপ রামের খুনের আসামিরা ছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অভিযুক্তরা। এছাড়াও বেশ কিছু কুখ্যাত দুষ্কৃতীর পাশাপাশি হুগলির ত্রাস ভিকি, সুমন, অঙ্কিত তেওয়ারি, বিশাল দাস, টোটন বিশ্বাসের মতো দুষ্কৃতীরাও এই হুগলি জেলে বন্দি রয়েছেন।
এই সংশোধনাগারের ভিতরে বসেই বন্দিরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের ছক কষতেন। এমনকি বন্দিরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফোন করে তোলা চাইতেন বলে খবর পায় চন্দননগর পুলিশ। আর সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই শুক্রবার জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালায় চন্দননগর পুলিশ। এসিপি হেড কোয়ার্টার মৌমিতা দাস ঘোষের নেতৃত্বে চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তী বাহিনী নিয়ে হুগলি সংশোধনাগারে এই তল্লাশি চালায়। তখনই বন্দিদের ওয়ার্ড থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন সহ বেশ কিছু সিমকার্ড ও গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। এই বছর এই নিয়ে ন’বার এই জেলে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ মোবাইল এবং মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সংশোধনাগারের ভিতরে কীভাবে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ও মাদকদ্রব্য পৌঁছল, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। পুলিশের অনুমান, নামি বন্দিদের বাইরে থেকে যে খাবার আসে সেই খাবারের সঙ্গেই তাদের হাতে পৌঁছে যায় মোবাইল ও মাদকদ্রব্য। কারণ অপরাধীরা জেলের ভিতর থাকলেও বাইরে তাদের নেটওয়ার্ক সর্বদা সচল থাকে। এই বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।