বাংলার খবর
দিলীপ গড়ে ফুটল ঘাসফুল, জেলায়-জেলায় সবুজ সুনামি
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : প্রথম থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। সোমবার সকাল ৮টা থেকেই ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হতেই কার্যত ব্যাকফুটে বাংলার প্রধান বিরোধী দল BJP । ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ১০৩টি তেই নিজেদের দাপট দেখাল শাসকদল তৃণমূল। পূর্ব থেকে পশ্চিম তর্জন গর্জন করেও মেদিনীপুরে তেমন কোনও প্রভাবই ফেলতে পারল না গেরুয়া শিবির।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৭টিই পুরসভার মধ্যে সাতটি দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলাজুড়ে কার্যত তৃণমূলের জয় জয়কার। তেমনভাবে সাড়া ফেলতে পারলাম না প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এদিন ভোটের ফলাফল বেরোতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি। তিনি জানান, এই জয় সাধারণ মানুষের জয়। পাশাপাশি তিনি দলের কর্মী-সমর্থকদের ও অভিনন্দন জানান।
তিনি আরও জানান, যেভাবে দলের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়ে মিছিল মিটিং করেছেন তাতে শাসকদলের পৌরহিত্যে অনেক সাহায্য করেছে। পাশাপাশি তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, ”শুধুমাত্র সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনীতি করা যায় না। ভোটে জিতে গেলে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হয়।”
শুধু তাই নয়, তৃণমূলের এই বিপুল জয়ে টলি অভিনেত্রী জুন মালিয়া জানান, সাধারণ মানুষ যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে মেদিনীপুর শাসকদলের প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন। এদিকে শুধুমাত্র বর্তমান বিজেপি বিধায়করা নয়, পুরভোটে তৃণমূলের কাছে হেরেছে BJP-এর প্রাক্তন বিধায়করাও। এর আগেও চার পুরনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, কাঁথি পুরসভা নির্বাচনে যথেচ্ছ ছাপ্পাভোট সহ বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করানোর অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সব রাজনৈতিক সমালোচনা, জল্পনাকে ছাপিয়ে বাংলার পুরযুদ্ধ ২০২২-এ মোট ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ১০৩টি পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ভাবে একটি পুরসভা গিয়েছে বামেদের দখলে। কোচবিহারেও ৬টি পুরসভার সবকটিতেই জয়ী তৃণমূল।