আন্তর্জাতিক
শিনজো আবের মৃত্যুতে ‘অগ্নিপথের ছায়া’ দেখছে তৃণমূল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শোকস্তব্ধ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। ‘প্রিয় বন্ধু’ শিনজো আবের মৃত্যুতে আজ ভারতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন। জাপানের রাজনীতির কালো অধ্যায়ের মধ্যেই শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলল বাংলার শাসকদল তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, শিনজো আবের হত্যাকারী ৪১ বছর বয়সী টেটসুয়া ইয়ামাগামি জাপান ডিফেন্সের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। চাকরি থেকে অবসর নিলেও তাঁদের জন্য নেই কোনও পেনশন ব্যবস্থা। সেই আক্রোশ থেকেই কি এই খুন! তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পেও চার বছর কাজের পর নেই কোনও অবসরের পেনশন। যার ফলে শিনজো আবের মৃত্যুর পর অগ্নিপথ নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজ্যের শাসকদল।
আরও পড়ুন: ‘ভালো কাজেও লেগে যাচ্ছে রাজনীতির রঙ’! অগ্নিপথ নিয়ে আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর
একইভাবে কেন্দ্রীয় সরকারে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ মিলবে ৪ বছরের জন্য। গত ২৪ জুন থেকে মোট দু’দফায় অগ্নিপথে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এই স্কীমে আবেদন করতে গেলে সবার আগে চাকরি প্রার্থীকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। নচেৎ মিলবে না আবেদনের ছাড়পত্র। এমনটাই ঘোষণা করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি।
আরও পড়ুন: ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকলে করা যাবে না ‘অগ্নিপথে’ আবেদন, জারি হল বায়ুসেনায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
টেটসুয়া ইয়ামাগামীর ক্ষেত্রেও গোটা বিষয়টি ছিল একই। জাপানের মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্সের প্রাক্তন সদস্য ছিল সে। তিন বছর চাকরি করার পর চাকরি চলে যায় তাঁর। তারপর থেকেই কোনও পেনশন ছিল না তাঁর। যার কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন জাপানবাসী। যদিও আততায়ী নিজেও নারার বাসিন্দা। এমনকি যে ‘গান’ দিয়ে আবেকে সে শ্যুট করেছে সেটিও তাঁর নিজের তৈরি বলে জেরায় কবুল করেছে টেটসুয়া।