বাংলার খবর
কোচবিহারে বাঘের আতঙ্ক! বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ল লেপার্ড, তিন ঘণ্টার চেষ্টায় খাঁচা বন্দি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বৃহস্পতিবার সকালেই কোচবিহারে বাঘের আতঙ্ক। একেবারে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল লেপার্ড। বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকার একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে লেপার্ড। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজ সরকার নামে জনৈক ব্যক্তি সকালে শৌচাগারে যাওয়ার সময় লেপার্ডটিকে দেখতে পান। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে তিনি বুঝতে পারেন, তিনি যে জন্তুটিকে দেখছেন সেটি আসলে একটি লেপার্ড। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর বাড়ি তো বটেই গোটা এলাকায় পড়ে যায় হুলুস্থুল। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান মনোজ বাবুর বাড়ির সামনে বাঘটিকে দেখার জন্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদফতরের কর্মীরা এবং কোতোয়ালি থানার পুলিশ। শুরু হয় বাঘবন্দি খেলা। কিন্তু বাঘ দেখতে হাজির হওয়া উৎসুক জনতাকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। তাই বাধ্য হয়ে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
এত চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাঘ বাবাজিও কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে এদিক-ওদিক লম্ফঝম্প শুরু করে। অবশেষে সে গিয়ে আশ্রয় নেয় মনোজ বাবুর বাড়ির শৌচালয়ে। তারপরই বনদফতরের কর্মীরা শৌচালয়ের দরজা আটকে দেয়। এবং বাইরে পাতা হয় জাল। তারপর ড্রিল মেশিন এনে বাথরুমের দেওয়াল ফুটো করে তার ভিতর দিয়ে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে নিস্তেজ করা হয় বাঘটিকে।
প্রায় তিন ঘন্টার পরিশ্রমের পর বাসটিকে জালে মুড়ে খাঁচা বন্দি করে বনদফতরের কর্মীরা। বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রেস্কিউ ভ্যানে করে বাঘটিকে প্রথমে জলদাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর বাঘটিকে জঙ্গলে ছাড়া হবে। বনদফতরের অনুমান পাশের জঙ্গল থেকেই বাঘটি ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালে নয়, বাঘটি বুধবার রাতেই এলাকায় ঢুকেছে। কারণ রাতে তাঁরা রাস্তার কুকুরদের চিৎকার শুনেছেন। তখন তাঁরা ব্যাপারটা বুঝতে না পারলেও আজ সকালে তারা বুঝতে পেরেছেন, বুধবার রাতে বাঘ ঢোকার জন্যই কুকুর চিৎকার করছিল। তবে বাঘ ধরা পড়লেও আতঙ্ক কাটছে না এলাকাবাসীর।