বাংলার খবর
লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল একই পরিবারের তিনজনের, বেঁচে গেল ৪ বছরের শিশু
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সম্প্রতি রাজ্যে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এবার ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার অন্তর্গত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। গোটা ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বহরমপুর থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী, স্ত্রী, তাঁদের বছর চারেকের সন্তান এবং শ্যালিকা। তখনই বেলডাঙা থানা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁদের বাইকটিকে একটি লরি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে। ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান চারজনেই। স্থানীয় বাসিন্দারাই সেখান থেকে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যান নিকটবর্তী হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে প্রাণী বেঁচে গিয়েছে ওই শিশুটি। মৃত ৩ জনের নাম জরিনা বিবি, আসমান শেখ ও মনিকা খাতুন। মৃতদের বাড়ির মুর্শিদাবাদের সালার থানা এলাকার আন্দ্রা গ্রামে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বহরমপুর থেকে বেলডাঙা হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন আসমান শেখ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তখনই পিছন থেকে একটি চোদ্দ চাকার লরি এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে আন্দ্রা গ্রামে। ছেলে-বউয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন আসমান শেখের মা ও বাবা। মা-বাবা কে হারিয়ে অনাথ হয়ে পড়েছে ছোট্ট শিশুটিও। গোটা গ্রাম শোকস্তব্ধ।
গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসিনতার অভিযোগ উঠেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। তাদের শরীর থেকে এতটাই রক্ত বের হচ্ছিল যে আমরা নিজেদের জামা কাপড় খুলে সেই রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও তখনও পর্যন্ত পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি। ঘটনার প্রায় আধঘন্টা পর পুলিশ আসে। শিশুটির কিছু না হওয়ায়, ওকে ওখানেই রেখে বাকি তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।’
ঘাতক লরিটিকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে লরির চালক ও খালাসিকেও। মৃতদেহ গুলি ময়না তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।