বাংলার খবর
পরিবহন দফতরে চুরি! চোর কি নিল জানেন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাঁকুড়ার জেলা শাসক ও জেলা আদালত চত্বরেই রয়েছে জেলার আঞ্চলিক পরিবহন দফতর। শনি ও রবিবার থাকায় গত দুদিন ওই দফতরে আসেননি কর্মীরা। আজ সকালে কর্মীরা অফিসে এলে দেখেন দফতরের পিছনের দিকে থাকা একটি দরজার তালা ভাঙা। সন্দেহ হওয়ায় দফতরের ভেতরে ঢুকে কর্মীরা দেখেন দফতরে থাকা সমস্ত আলমারির দরজা ভাঙা। কিন্তু কিছুই না পেয়ে অবশেষে ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে চম্পট দিল চোর।
আজব কান্ড! চোর এল চুরি করতে। ভেবেছিল টাকা, পয়সা নিয়ে চম্পট দেবে। কিন্তু একি হল। কাগজপত্রের পাহাড় সরিয়ে আলমারি নাড়াচাড়া করেও লাভ হয়নি কিছুই। পরিবর্তে দেখতে পেল চা করার সমস্ত সরঞ্জাম। হতাশ হয়ে চা বানিয়ে ফেলল চোর। গরম চায়ে গলা ভিজিয়ে পালিয়ে গেল চোরেরা। কম্পিউটার নিয়ে যায়নি তারা। তবে একেবারে শূন্য হাতে যেতে কি আর মন চায়? তাই তো ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের ব্যতিক্রমী ঘটনায় কার্যত চোখ কপালে ওঠার জোগাড় প্রায় সকলের। এ কেমন চোর, এই প্রতিক্রিয়াই বেশিরভাগ মানুষের।
ডিএম অফিস এবং জেলা আদালত চত্বরেই রয়েছে জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। রবিবার রাতে ওই দফতরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে সমস্ত আলমারি ভাঙে চোরেরা। তছনছ করে অফিসের নথিপত্র। শেষে ইলেক্ট্রিক কেটলিতে চা বানিয়ে আয়েশ করে খাওয়া হয় তা। পরে সেই কেটলি নিয়েই চম্পট দেয় হতাশ চোরের দল। সোমবার বিষয়টি নজরে আসে বিষয়টি। প্রথমে চুরির সন্দেহ হয় তাঁদের। পরে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। আরও ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, সমস্ত আলমারির দরজা ভাঙা। টেবিলে থাকা নথিপত্র তছনছ হয়ে রয়েছে। ড্রয়ারের পয়েন্ট অফ সেল মেশিন রাখা টেবিলের উপর। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশও অক্ষত রয়েছে। শুধু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না একটি জিনিস। আর তা হল ইলেকট্রিক কেটলি। এমনকি দেখা যায়, চা ও চিনির পাত্রের ঢাকনা খোলা। সেগুলিতে চা ও চিনির পরিমাণও অনেক কম। কর্মীদের একাংশের ধারণা, গোটা অফিস তন্নতন্ন করে খুঁজেও টাকা-পয়সা না পেয়ে হতাশ হয়ে চোরের দল চা খেয়ে কেটলি নিয়ে পালিয়েছে।
তবে এখানে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন। সিসি ক্যামেরায় মোড়া থাকা সত্ত্বেও কি করে সরকারি দফতরে এমন ঘটনা ঘটল। নৈশরক্ষী মোতায়েন ছিল সেদিন। এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।