ঠাঁই হল না বাড়িতে, আস্তাকুঁড়েই দিন কাটছে অসুস্থ রিক্সা চালকের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেখেনি পরিবার, ঠাই হয়েছিল ক্লাবে। এবার সেই ক্লাব থেকেও বের করে দেওয়া হল। চন্দননগর কুটির মাঠ সংলগ্ন পুকুর পারে আস্তাকুঁড়ের পাশে দিন কাটছে চন্দননগর কুটির মাঠ এলাকার বাসিন্দা রিক্সা চালক অশোক চৌধুরীর।

চন্দননগর কুটির মাঠ এলাকার বাসিন্দা রিক্সা চালক অশোক চৌধুরী। লিভারের অসুখে ভুগছেন গত এক বছর ধরে। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ভাইদের সংসারে দিন কাটছিল তাঁর। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর কিছুদিন চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। কমেনি তাঁর অসুস্থতা। বিছানায় শয্যাশায়ী হতেই ভাইদের সংসারেও ব্রাত্য হয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। এক মাস ধরে এলাকার একটি ক্লাবে ঠাঁই হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সেখানেও দেখার কেউ না থাকায় ক্লাব থেকে বিতারিত হতে হয়।

গত দুদিন ধরে আবর্জনার পাশে সাপ খোপের আস্তানায় পড়ে রয়েছেন প্রৌঢ়। চন্দননগর পুর নিগমের কাউন্সিলর ঋতুপর্ণা সাউ প্রৌঢ়ের কথা বলে জানতে পেরে ভাই অমিত চৌধুরীকে দাদার চিকিৎসা এবং দেখভাল করতে বলেন। ভাই দাদাকে দেখতে গিয়ে জানান, আমার নিজেরই চলে না কি করে দাদাকে দেখব। দাদা মদ খেয়ে অসুস্থ হয়েছে।

এদিকে, বাইরে পরে থাকার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রৌঢ়কে খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন। তবে প্রৌঢ়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন চন্দননগর পুর নিগমের কাউন্সিলর ঋতুপর্ণা সাউ।