বাংলার খবর
বায়না নেই, মন খারাপ মেদিনীপুরের আদিবাসী মহিলা ঢাকিদের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ঢাকের বোল মানেই মনের মধ্যে এক অন্যরকম আনন্দ। কিন্তু মন খারাপে ডুবে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার টুকুরিয়ার মহিলা ঢাকিরা। এবারের পুজোয় শহর থেকে ডাক আসেনি। তাই বিপাকে চন্দ্রকোনার ঢাকিরা। দুর্গাপুজো মানেই ঢ্যাং কুরা কুর বাদ্দি, ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ। পাড়া জুড়ে কচিকাঁচাদের আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দ এখন ম্লান। বায়নাই আসেনি ঢাকিদের। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কিছু মহিলাকে নিয়ে একটি মহিলা ঢাকির দল তৈরি করেছেন দশরথ মালিক।
তাঁরা বর্তমানে ঢাকের মহড়া দিতে ব্যস্ত। প্রতিবছর পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই ঢাকি পাড়ায় থাকত তুমুল ব্যস্ততা। দিনরাত চলত ঢাকের মহড়া। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বায়না আসা শুরু হয়ে যেত। কিন্তু ঢাকি পাড়ার চেনা ছবিটাই পাল্টে দিয়েছে করোনা। উৎসবের আমেজের বদলে বিষন্নতায় ঢেকেছে ঢাকিদের পাড়া। ঢাক বাজিয়েই ভাত জোটে ঢাকিদের। বায়না না পাওয়ায় অনিশ্চয়তার দিন গুনছেন ঢাকিরা। একুশের পুজো কি তাহলে এভাবেই বাড়িতে বসেই কাটবে! ভেবে কুল-কিনারা করতে পারছেন না ঢাকিরা। এই মহিলা ঢাকি দলের ম্যানেজার দশরথ মালিক বলছিলেন, ‘আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা আর্থিক দিক থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে। তাই তাদের রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করতেই ঢাক বাজানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিলাম
বায়না নেই, মন খারাপ মেদিনীপুরের আদিবাসী মহিলা ঢাকিদের!। যাতে নিজেরা উপার্জন করে সংসার চালাতে পারে। কিন্তু করোনার জন্য ঢাকের চাহিদা এবারে খুবই কম। সেই ভাবে বায়না আসেনি। প্রতিবছর যেরকম বায়না আসে এবছর এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে আসেনি। হাতে এখনও কয়েকদিন সময় আছে, দেখা যাক। এই ঢাক বাজিয়েই আমাদের সারা বছর সংসার চলে। বায়না না আসায় আগামী দিনগুলো কীভাবে চলবে তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।’ ঢাকি সুমি হাঁসদা জানিয়েছেন, ‘ এখনো সেই ভাবেই বায়না আসেনি। বায়না না এলে সংসার চালাবো কি করে জানি না। এমনিতেই আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। ছেলে-মেয়েগুলোকে পুজোয় নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতে পারছিনা। ঠাকুরের দয়ায় যদি বায়না আসে, তাহলে আমাদের ভালো হবে। না হলে, কষ্ট আরও বাড়বে। আমাদের সংসার চলে। যেমনভাবে দিন কাটছিল তেমন ভাবেই কাটবে।’