লাইফ স্টাইল
ভারতের এমন কয়েকটি মন্দির আছে যেখানে পুরুষ-প্রবেশ নিষিদ্ধ !

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ :আমাদের দেশে মন্দিরের সংখ্যা অসংখ্য। এই সকল মন্দিরগুলির নিয়ম নীতি, আদব কায়দা ভিন্ন রকম। কোনও কোনোও মন্দিরে যেমন মহিলারা প্রবেশ করতে পারেন না। আবার কোনও মন্দিরে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। শুনতে অবাক লাগলে কথাটা সত্যি। আমাদের দেশে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যেখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ।
কামাখ্যা মন্দির ,অসম
কথিত আছে, সতীর দেহত্যাগের পর বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে তাঁর যোনি ছিন্ন হয়ে এখানেই পড়েছিল। আষাঢ় মাসে এই মন্দিরে পালন করা হয় অম্বুবাচী। অম্বুবাচীর সময় তিনদিন মন্দির বন্ধ থাকে। এই তিনদিন কোনও মাঙ্গলিক কাজ এবং দেবী দর্শন নিষিদ্ধ থাকে। এই চারদিন মন্দিরে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ থাকে। মন্দিরে প্রবেশ করেন শুধুমাত্র মহিলা যাজক এবং সন্ন্যাসীরা।
আট্টুকাল মন্দির ,কেরল
কেরলের এই মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে শুধুমাত্র মহিলাদের। পুরুষরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না। প্রতি বছর পোঙ্গলের সময় এই মন্দিরে ৩০ লক্ষ মহিলা ভক্ত মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। এত বড় নারী সম্মেলন বিশ্বে আর কোথাও হয় না। এই কারণেই গিনিস ওয়ার্ল্ড অফ বুকে জায়গা করে নিয়েছে এই মন্দির। আর সেই সময় এই মন্দিরে কোনও পুরুষরা প্রবেশ করতে পারেন না।
দেবী কন্যাকুমারী ,কন্যাকুমারী
কন্যাকুমারীর দেবী মন্দিরে ভগবতীকে কন্যা রূপে পূজা করা হয়। এই মন্দির চত্বরে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। যদিও পুরুষ সন্ন্যাসীরা মন্দিরের প্রধান দ্বার পর্যন্ত যেতে পারেন। এটিও শক্তিপীঠের একটি। পুরাণ অনুসারে, কন্যাকুমারী মন্দিরে সতীর মৃতদেহের ডান কাঁধ এবং মেরুদণ্ডের অংশটি পড়েছিল। কিংবদন্তি অনুসারে, দেবী পার্বতীকে বিবাহের দিন এই স্থানে মহাদেব কোনও অসম্মানজনক আচরণ করেন। সেই কারণে আজ পর্যন্ত এখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।
মাতা মন্দির ,মুজাফ্ফরনগর
অসমের কামাখ্যার মতো বিহারের মুজাফ্ফরনগরের মাতা মন্দির একটি শক্তি পীঠ। নির্দিষ্ট সময়ে দেবীর ঋতুস্রাব হয় এবং তখন মন্দিরে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। সেই সময় মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন মহিলারা। পুরোহিত, ভক্ত সকলেই মহিলা হন।
ব্রহ্মা মন্দির,রাজস্থান
প্রজাপতি ব্রহ্মার এই মন্দিরে কিন্তু বিবাহিত পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। পুরাণ অনুযায়ী, এই স্থানে স্ত্রী সরস্বতী দেবীকে নিয়ে যজ্ঞে বসার কথা ছিল প্রজাপতির। কিন্তু যজ্ঞানুষ্ঠানে পৌঁছোতে দেরী করেন দেবী সরস্বতী। সেই সময় যজ্ঞানুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য দেবী গায়ত্রীকে বিয়ে করেন ব্রহ্মা। এবং যজ্ঞে বসেন। এই ঘটনায় দেবী সরস্বতী ক্রদ্ধ হন এবং অভিশাপ দেন যে, কোনও বিবাহিত প্রবেশ ব্রহ্মা মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কেউ প্রবেশ করেন তাহলে তাঁর দাম্পত্য জীবন অসুখী হবে। সেই থেকে পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ।