বাংলার খবর
ইস্তেহারে ”কলকাতার ১০ দিগন্ত” এর কথা বলেই পুরভোটে লড়বে তৃণমূল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:আগামি ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। সমস্ত দলের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।বিজেপি , কংগ্রেস, বামেরা আগেই তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছিল। শনিবার দক্ষিণ কলকাতার মহারাষ্ট্র নিবাসে একঝাঁক নেতার উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।
উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা-সহ দলের প্রার্থীরা। এই ইস্তেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলকাতার ১০ দিগন্ত’। আগামী পাঁচ বছর কলকাতা পুরসভার নাগরিকদের কী ধরণের পরিষেবা দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস, তারই খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে এই ইস্তেহারে। বেহালা, টালিগঞ্জে জল নিকাশির সমস্যা দূর করার পাশাপাশি গর্ত বিহীন রাস্তার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যাতে জল না জমে সেই জন্য ২০০ টি পাম্প বসানোর পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে এই ইস্তেহারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ব্লকেজ মুক্ত নর্দমা তৈরি এবং আদিগঙ্গা সংস্কারের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
গৃহহীনদের রাত্রি নিবারণের জন্য ১২টি কেন্দ্র গড়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। শহর এবং বাজার-ঘাট পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে বর্জ্যের ব্যবহার এবং খোলা ভ্যাট বন্ধ করা হবে। শহরের তিনটি মাল্টিলেভেল পার্কিংলট এবং ৫৩০টি বাতানুকূল বাস স্ট্যান্ড তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। জলের সমস্যা দূর করতে জোড়াবাগান, গড়িয়া এবং জয় হিন্দ জল শোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে এবং বিশুদ্ধ জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৫০টি অতিরিক্ত বুস্টার পাম্পিং স্টেশন স্থাপন করা হবে। মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুবিধা যুক্ত শৌচালয় গড়ার কথাও বলা হয়েছে ইস্তেহারে। দ্রুত সমস্যা নিষ্পতির জন্য প্রত্যেক পাড়ায় নিষ্পত্তি শেল গঠন করা হবে।
আর তার মাথায় থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। যে কোনও দরকারে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল অফিসে যেতে হবে না। অনলাইনে আবেদন করলেই দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য খুব তাড়াতাড়ি অ্যাপ নিয়ে আসা হবে বলেও বলা হয়েছে এই ইস্তেহারে। যে অ্যাপে নাগরিকরা খারাপ রাস্তা, নর্দমা ও পরিষেবা সহ অন্যান্য সমস্যার কথা ছবি-সহ আপলোড করতে পারবেন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ১৪৪টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং পুরসভার স্কুলগুলির মান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।