গত তিন বছরে রাজ্যের সমস্ত হলে কত বাংলা ছবি চলেছে, রিপোর্ট চাইল সরকার
Connect with us

বাংলার খবর

গত তিন বছরে রাজ্যের সমস্ত হলে কত বাংলা ছবি চলেছে, রিপোর্ট চাইল সরকার

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : করোনা অতিমারিতে গত দু’বছরে অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে বড় ধাক্কা খেয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পও। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় গত মাস দু’য়েক ধরে সবকিছুই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। খুলেছে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্সও। কিন্তু, হিন্দি, ইংরাজি এবং দক্ষিণী ছবির চাপে মাল্টিপ্লেক্স এবং সিনেমা হলের সিঙ্গল স্ক্রিনে জায়গা পাচ্ছে না বাংলা ছবি। আর জায়গা পেলেও সপ্তাহ দু’য়েক চলতে না চলতেই বাংলা ছবি সরিয়ে হিন্দি ছবি জায়গা করে নিচ্ছে।

লোকসানের যুক্তি দেখিয়ে হল মালিকরা ইতিমধ্যে প্রচুর সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ করে দিয়েছে। করোনা আসার আগেও এই অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন বাংলা ছবির প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এবার মাল্টিপ্লেক্স এবং হলে বাংলা সিনেমার সিঙ্গেল স্ক্রিন না পাওয়ার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্সগুলোর কাছ থেকে পরিসংখ্যান চেয়ে পাঠাল নবান্ন। জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে কতগুলো বাংলা সিনেমা রাজ্যের হলগুলোতে প্রদর্শিত হয়েছে, তার রিপোর্ট হল মালিকদের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, গত সোমবার এই মর্মে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিন হলকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে,’১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী রাজ্যের সমস্ত সিনেমাহলে বাংলা সিনেমার প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। তাই বিগত তিন আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হলে কতগুলো বাংলা সিনেমা দেখানো হয়েছে সেই রিপোর্ট দিতে হবে হল কতৃপক্ষকে। এই পরিস্থিতি দূর করতেই সরকার এই পরিসংখ্যান চেয়ে পাঠিয়েছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত সকলেই। পরিচালক সুদীপ্ত দে সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Advertisement

তিনি বলেছেন, ‘এখন প্রচুর ভালো ভালো বাংলা সিনেমা তৈরি হচ্ছে। বাংলা ছবি দেখতে প্রচুর দর্শক হলে ভিড় করছেন। কিন্তু বাংলা ছবি মাল্টিপ্লেক্স বা হলগুলোতে সেইভাবে সিঙ্গেল স্ক্রিন পাচ্ছে না। আর পেলেও সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাংলা ছবিকে নামিয়ে হিন্দি ছবি জায়গা করে নিচ্ছে। এতে বাংলা সিনেমার ক্ষতি হচ্ছে। ফলে, প্রযোজকদের টাকা উঠছে না। বছরে রাজ্যের সমস্ত হলগুলোতে যদি একশো টাকার ব্যবসা হয়, তাহলে অন্যান্য ছবি থেকে ৮০ থেকে ৯০ টাকা উঠলেও বাংলা ছবি থেকে উঠছে মাত্র ১০ থেকে ২০ টাকা। তাই সরকার যদি এই উদ্যোগ নিয়ে থাকে তাহলে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন – এপ্রিলেই কাপুর ঘরনি আলিয়া, দেখে নিন কারা রয়েছেন নিমন্ত্রিতদের তালিকায়

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.