পেগাসাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের
Connect with us

বাংলার খবর

পেগাসাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পেগাসাস তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কমিশন গড়ার সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। পেগাসাস নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ। দেশের বিভিন্ন প্রভাবশালীদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বাদ যায়নি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনেও আড়িপাতা হয়েছে বলে রাজ্যসভা এবং লোকসভায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরাও। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট তদন্তের জন্য প্রাক্তন বিচারপতি নিয়োগ করে তদন্ত কমিশন গঠন করে। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে থেমে থাকেনি। রাজ্য সরকার পেগাসাস তদন্তের জন্য আলাদা বিশেষ তদন্ত কমিশন (সিট) গঠন করে ফেলে। গত জুলাইয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন লোকুরের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ওই তদন্ত কমিশন গড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু পেগাসাস বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, সুতরাং প্রয়োজন সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

আদালতের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, পেগাসাস নিয়ে কোনও আলাদা তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারবে না রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের ঠিক করে দেওয়া কমিশনই এই বিষয়ে তদন্ত করবে। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের গঠিত কমিশন ভেঙে দেওয়ার জন্য খুব তারাতারি কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠাবে সুপ্রিম কোর্ট। গত অক্টোবরেই পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রনের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি রয়েছেন দুই সাইবার বিশেষজ্ঞও। তাই একই বিষয়ে সমান্তরাল কোনও তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণার বেঞ্চ।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.