বাংলার খবর
রসগোল্লার মতো শীতলপাটির জিআই তকমা পেতে ঝাঁপাচ্ছে রাজ্য
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ২০১৭ সালে ওড়িশাকে হারিয়ে রসগোল্লার জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) স্বীকৃতি জয় করেছিল রাজ্য। এবার আরও একটি জিআই স্বীকৃতি জয়ের আশায় ঝাঁপাচ্ছে রাজ্য। খবর পাওয়া গিয়েছে কোচবিহারের শীতলপাটির জিআই তকমা পেতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য।
রসগোল্লার জিআই স্বীকৃতি পেতে বিরোধের মুখে পড়তে হয়েছিল। কারণ ওড়িশা চেয়েছিল রসগোল্লার দখল নিজেদের হাতে রাখতে। সেই জন্য বিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু শীতলপাটির ক্ষেত্রে তা হবে না। আর সেই কারণেই কোমর বেঁধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রামীন ক্ষুদ্র এবং কুটিরশিল্প দফতর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গ্রামীন ক্ষুদ্র এবং কুটিরশিল্পকে উন্নত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
সেই দিক থেকে বিচার করলে যদি কোচবিহারের মানুষের হাতে তৈরি শীতলপাটি জিআই স্বীকৃতি পায়, সেটা রাজ্যের সাফল্য বলে ধরা হবে। বাংলাদেশে শীতলপাটি ব্যবহারের চল রয়েছে। পশ্চিম বঙ্গে এই পণ্য উৎপাদনের জন্য রয়েছে কোচবিহারের নাম। সরকারি হিসেবে এই মুহূর্তে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই শীতলপাটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং শীতলপাটিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারলে বাংলার কুটিরশিল্প কারবারিরা উৎসাহ পাবেন। শোনা যাচ্ছে গত কয়েক বছরে কয়েক কোটি টাকার শীতলপাটি রপ্তানি হয়েছে। প্রচারের আলোয় আসলে সেটা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
কৃত্রিম এবং বিভিন্ন উপকরণে তৈরি পাটির ব্যবহার থাকলেও শীতলপাটির চাহিদা রয়েছে অনেক। শুধু মাদুর নয়, ব্যাগ, বসার আসন ইত্যাদি অনেক জিনিস তৈরি হয় শীতলপাটির এই দ্রবাদি দিয়ে। পুজোর মরসুম শেষ হলেই জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন কুটিরশিল্প দফতরের কর্তারা ।