সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার
Connect with us

বাংলার খবর

সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডের মৃত্যুতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এবার প্রয়াত বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রীকে সম্মান জানাতে সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।

রবিবার নবান্নের অর্থ দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মন্ত্রীর প্রয়াণের কারণে সমস্ত সরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থানীয় পৌরসভা, পঞ্চায়েত, কর্পোরেশন এবং সরকার অধীনস্থ সমস্ত সংস্থায় সোমবার দুপুর ২টোয় ছুটি ঘোষণা করা হল। রবিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে প্রয়াত হন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। রবিবার মধ্যরাতে মুম্বই থেকে সাধন পাণ্ডের মৃতদেহ কলকাতায় আসার কথা। বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও সুজিত বসু। সোমবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বছর দশেক আগে একবার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের মাঝেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখনও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। যদিও কিছু দিন হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। মানিকতলা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে কুড়ি হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করে জয়ী হন। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভায় জোড়া মন্ত্রকের দায়িত্ব পান।

গত ১৬ জুলাই ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন এবং তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। তখন থেকেই তিনি ছিলেন সজ্ঞাহীন। এরপর গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে।রবিবার সকালে তাঁর দীর্ঘ অসুস্থতার লড়াই শেষ হয়ে গেল। সাধন পাণ্ডে রাজ্যের একজন গুরত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। সামলেছেন একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের পাশাপাশি রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্ত দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। বিধানসভা ভোটে কখনও পরাজিত হননি সাধণ পাণ্ডে।

Advertisement

টানা ৯ বারের বিধায়ক তিনি। একমাত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছাড়া রাজ্যে আর কারও এই রেকর্ড নেই। ১৯৮৫ সালের উপনির্বাচনে উত্তর কলকাতার বড়তলা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হন তিনি। এরপর ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ওই কেন্দ্রেরই কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০০১ এবং ২০০৬ সালে বড়তলা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। আসন পুনর্বিন্যাসের কারণে ২০০৯ সালে বড়তলা কেন্দ্রের অবলুপ্তি হলে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেন। ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রীসভার ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী হন তিনি। এরপর ২০১৬ ও ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনেও মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে একই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.