১৬ তারিখ থেকেই রাজ্যে খুলছে স্কুল, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়ে হয়ওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে রাজ্য সরকারের পূর্ব ঘোষণা মতো ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলায় আর কোনও বাধা রইল না। তবে স্কুল খুললেও করোনাবিধি মেনেই হবে ক্লাস। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।

এ ক্ষেত্রে স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্যের জারি করা ২৯ অক্টোবরের নির্দেশই বহাল রাখার নির্দেশ দিল আদালত।১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য জানিয়েছিল, আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত। আর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত হবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস। স্কুলগুলিতে যথাযথ করোনা বিধি মেনেই চলবে পড়াশোনা। কিন্তু পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই গত সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী। আদালতে তিনি আবেদন করেন, ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনার কথা ঘোষণা না করেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই স্কুল খুলছে রাজ্য।

এই অবস্থায় পড়ুয়ারা স্কুলে গেলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার দাবিও জানান তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালত তাঁর সমস্ত দাবি খারিজ করে দিয়েছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, দেশের প্রায় সব রাজ্যে স্কুল খুলে গিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, বিহার, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে আগেই স্কুল খুলেছে। তাই পশ্চিমবঙ্গেও স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হোক।

কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে স্কুল খোলার পর কী কী পদক্ষেপ করা হবে এবং কী ভাবে স্কুল চালানো হবে তা সবিস্তারে জানিয়েছে রাজ্য।আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হলে স্কুলের ১৫ শতাংশ পড়ুয়া উপস্থিত থাকবে। প্রতি দিন ১০ মিনিট করে পড়ুয়াদের কোভিড নিয়ে সচেতন করা হবে। অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সংগঠন কারও কোনও অসুবিধা থাকলে আদালতে আসতে পারবে। তা ছাড়া ক্লাস চালু করতে কোনও স্কুলের অসুবিধা থাকলে তারাও রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুলে আসা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও রকম জোরাজুরি করা হবে না। হাই কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। বাবা-মা চাইলে তবেই পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন।’