বাংলার খবর
বেতন না মেলায় হাল ছাড়লেন মাঝিরা!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : প্রায় ৮ মাস ধরে বেতন না পাওয়ার জন্য নৌকার হাল ছাড়লেন মাঝিরা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া ১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ডিয়ারফরেস্ট এলাকায়। ফরাক্কার ডিয়ারফরেস্ট নৌকো ঘাটের নৌকোর মাঝিদের বক্তব্য প্রায় ১৪ বছর ধরে প্রথমে দু’জন মাঝি দিয়ে ফরাক্কার এই ডিয়ারফরেস্ট নৌকো ঘাটের নৌকো চালাতেন।
তখন ঠিকমত বেতন দেওয়া হতো প্রশাসনের তরফ থেকে। গত দুই বছর আগে এই ডিয়ারফরেস্ট নৌকো ঘাটের আরও দু’জন মাঝি বাড়ানো হয়। তারপর কয়েক মাস বেতন ঠিক ভাবে পাচ্ছিলেন। কিন্তু এই চার জন মাঝির বেতন প্রায় ৮ মাস ধরে না পাওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে নৌকো চালানো বন্ধ করে দেন মাঝিরা। ফরাক্কার ডিয়ারফরেস্ট নৌকো ঘাটের নৌকোর মাঝিদের আরও বক্তব্য, ৮ মাসের বেতনের সমস্যার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিওকে জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নৌকার হাল ছাড়তে হয়েছে তাঁদের। প্রশাসনের তরফ থেকে যতক্ষণ না তাঁদের ৮ মাসের বেতনের সুরাহা হবে, ততোক্ষণ নৌকোর হালও ধরবে না বলে জানিয়েছেন মাঝিরা।
শুক্রবার সকাল থেকেই ফরাক্কার ডিয়ারফরেস্ট নৌকো ঘাটের মাঝিরা নৌকোর বন্ধ রাখায় আটকে পড়ে একটি প্রাইভেট কোম্পানির লঞ্চ। সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফরাক্কা বেওয়া ১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ডিয়ারফরেস্ট, শিকারপুর, তিমতলা সহ অন্যান্য এলাকা মিলিয়ে প্রায় কয়েক হাজার পরিবারের প্রধান ভরসা এই ফরাক্কার ডিয়ারফরেস্ট নৌকো ঘাট। বিকল্প একটি রাস্তা থাকলেও সেই রাস্তার অবস্থাও বেহাল। ফলে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার সহ অন্যান্য কাজের জন্য এই নৌকা ব্যবহার করতে হয়। তাই ফরাক্কার ডিয়ারফরেস্ট নৌকো ঘাটে মাঝি অবশ্যই দরকার। এই ঘাটের মাঝি না থাকলে নৌকা পারাপারের সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। মাঝিরা নৌকার হাল ছাড়ায় প্রায় ঘণ্টা খানেক আটকে পড়েন কোভিড ভ্যাকসিন নিতে যাওয়া এক ব্যক্তিও।