বাংলার খবর
উদ্ধার হল অর্থলগ্নি সংস্থার লোপাট হওয়া টাকা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ছিলেন শিলিগুড়ির এক অর্থলগ্নি সংস্থার কর্মী। সংস্থার কাজ ছিল মহিলা গ্রুপ করে লোন দেওয়া। ওই সংস্থার কর্মী পরিতোষ রায় মহিলা গ্রুপ করে লোন দেওয়া এবং লোনের কিস্তির টাকা কালেকশন করে অফিসে জমা না করে, সেই টাকা লোপাটের চেষ্টা করেন।
সেই মতো ছক সাজিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ছক সফল হয়নি। পুলিশের জেরার মুখে সব স্বীকার করতে বাধ্য হলেন। পুলিশের তৎপরতাতেই লোপাট করতে পারলো না ওই অর্থলগ্নি সংস্থার কর্মী পরিতোষ। জানা গিয়েছে, টাকা লোপাটের সাথে রাজগঞ্জের পাগলা হাটের বাসিন্দা পরিতোষ রায়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রাজগঞ্জের সুভাসপল্লীর বাসিন্দা আশিস বিশ্বাস, ভরপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় মোদক, রামনাবান্ধা এলাকার বাসিন্দা শাম্যাল রায়। এই চারজনকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিতোষ রায় শিলিগুড়ির এক অর্থলগ্নি সংস্থার কর্মী।
গ্রামের মহিলাদের কাছ থেকে লোনের কিস্তির টাকা তুলে অফিসে বা ব্যাঙ্কে জমা করা ছিল তাঁর কাজ। কিন্তু ১৯ অক্টোবর গ্রাহকদের কাছ থেকে ১১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা তুলে বাইক নিয়ে শিলিগুড়ির একটা ব্যাঙ্কে জমা করার জন্য রওনা দেন তিনি। এদিকে পরিকল্পনা মাফিক উত্তরকন্যার কাছে এক ওভার ব্রিজে তাঁর বাকি তিন সঙ্গী অপেক্ষা করছিলেন। সবাই মিলেই টাকা লোপাটের চেষ্টা করেন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য কখনও অপহরণ আবার কখনও ছিনতাইয়ের গল্প ফাঁদে তাঁরা। অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য প্রথম থেকেই পরিতোষের উপর সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর পুলিশি জেরার মুখেই সব স্বীকার করে নেন তিনি। আজ অভিযুক্তদের কাছ থেকে পুলিশ খোওয়া যাওয়া ১১লক্ষ পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার করেছে। বাকি টাকা তারা কোথায় ও কীভাবে খরচ করেছে, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।