বাংলার খবর
সরকারি বিভিন্ন দফতরের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্যও মুখ্যমন্ত্রী, ভিজিটর উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে করার প্রস্তাবে আগেই সিলমোহর দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এবার সেই পথে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। এবার রাজ্য সরকারের অন্যান্য দফতরের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোয় সিলমোহর দিল মন্ত্রিসভা। এর ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য, সংখ্যালঘু ও প্রাণিসম্পদ দফতরের অধীনে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে, সেগুলোর আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে এটি হল অন্যতম। আগামী ১০ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা বিধানসভার বাদল অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল।
বিধানসভায় সেই বিল পাস হলেই তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যপাল কি আদৌ সেই অনুমোদনে সই করবেন? বর্তমানে এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে রয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল নিজেকেই নিজের পদ থেকে সরানোর বিলে সই করবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের বর্তমান যে সম্পর্ক, তাতে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, শিক্ষা, প্রাণিসম্পদ, সংখ্যালঘু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেমন কৃষি দফতরের অধীনে থাকা কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সংখ্যালঘু দফতরের হাতে থাকা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে থাকা হেলথ ইউনিভার্সিটির আচার্য পদে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিজিটর পদে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীকে বসানোর পথেও হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। সোমবার এ ব্যাপারেও সিলমোহর দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে নিয়ম ও সংবিধান রয়েছে, তাতে সেখানকার ভিজিটর পদে বসেন রাজ্যপাল। তবে এক্ষেত্রে রাজ্যপালের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না সরকারকে। বিধানসভায় বিল পাস হলেই ভিজিটর পদে বসবেন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী। কারণ, এই নিয়ম বদলের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত হিসেবে গণ্য হয়। যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই আআইন বা সংবিধান কোনও আইন নয়, তাই এক্ষেত্রে রাজ্যপালের চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।