বাংলার খবর
বেড়েই চলেছে আলুর দাম, কবে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে, জেনে নিন
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পেট্রোপণ্যের দাম প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। রান্নার গ্যাসও হাজার ছাড়িয়েছে। মাছ, মাংসের দাম আকাশছোঁয়া। কাঁচা সবজির দামও মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। এর মধ্যেই আলুর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে, নতুন করে চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে আলু ভক্ত রাজ্যবাসীর। বাজারে চন্দ্রমুখী আলু দেখাই যাচ্ছেনা। আর পাওয়া গেলেও ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চন্দ্রমুখী আলু। খুচরো ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে চন্দ্রমুখী আলুর বস্তা তাঁদের কিনতে হচ্ছে ১৯০০ টাকায়। অর্থাৎ তাঁদের কিনতে হচ্ছে ৩৮ টাকা কেজি দরে।
অপরদিকে, জ্যোতি আলুর দামও বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে মানিকতলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮ টাকায়। খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজার থেকে জ্যোতি আলুর ৫০ কেজির বস্তা কেনার পর বস্তায় প্রায় দুই কেজি করে পচা আলু বেরোচ্ছে। সেই দাম এবং পরিবহন খরচ ধরেই তাঁদের ২৮ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। জেলার বাজারগুলোতেও একই অবস্থা। জেলার বাজারগুলোতেও জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকায়। অথচ চাষীরা ১৭ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছেন।
কিন্তু আলুর অগ্নিমূল্য কেন? তার সদুত্তর পাওয়া না গেলেও উঠে আসছে বিভিন্ন তথ্য। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সুফল বাংলা স্টলের সংখ্যা বাড়িয়ে ন্যায্য দামে রাজ্যবাসীর কাছে আলু পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। তার জন্য ভ্রাম্যমাণ সুফল বাংলা স্টল বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি, আলুর দাম লাগাতার বাড়তে থাকলেও বাজারগুলোতে ঠিকমতো দেখা মিলছে না টাস্কফোর্সের। আবার কিছু ব্যবসায়ীর দাবি গত বছরের মতো এ বছরও রাজ্যে আলুর ফলন ভালো হয়নি। সেই কারণে উত্তর প্রদেশ থেকে আলু আনতে হচ্ছে। ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। রাজ্যে ভালো ফলন হলে জ্যোতি আলু ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।
সরকারি কড়াকড়ির জন্য মজুতদাররাও এখন বেআইনিভাবে আলু মজুত করতে পারছেন না। কারণ এতদিন স্টোরবন্দী থাকার পর সোমবার থেকেই স্টোর থেকে আলু বের হতে শুরু করেছে। তাই ঊর্ধ্বমুখী আলুর দাম এবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিনের খাবারের পাতে আলু বাধ্যতামূলক। কিন্তু যেভাবে আলুর দাম বেড়েই চলেছে তাতে আলুকে বাদ দিয়েই পদ রান্নার কথা ভাবছেন গৃহিনীরা।