বাংলার খবর
সোমবারও বন্ধ রইল রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির দফতর, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সরব হতেই রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিতা টুডু, সহ-সভাপতি মানস ঘোষ সহ অন্যান্য সদস্যরা। শুক্রবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান তথা হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মনের উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে। সোমবারও বন্ধ ছিল পঞ্চায়েত সমিতির অফিস। ফলে, দূর-দূরান্ত থেকে প্রয়োজনীয় কাজে এসে ফিরে যেতে হল সাধারণ মানুষকে। পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন রায়গঞ্জের প্রান্তিক এলাকার মানুষজন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের স্বার্থে শুরু হয়েছে একাধিক জনকল্যান মূলক সামাজিক প্রকল্প। কিন্তু পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ থাকায় সেই সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধাগুলো থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সত্যজিৎ বর্মন, মানস ঘোষদের অভিযোগ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চাইছেন পঞ্চায়েতে। এই অভিযোগ তুলেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান তথা হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মনের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার পঞ্চায়েত সমিতির দফতরে তালা ঝুলিয়ে দেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিতা টুডু, সহ-সভাপতি মানস ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘এতদিন ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কাটমানি নিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হত। আমি সেই ঘুঘুর বাসা ভাঙতে চেয়েছি। সরকারী নিয়ম মেনে স্বচ্ছভাবে যাতে টেন্ডার প্রক্রিয়া হয় তা নিশ্চিত করতে চাওয়াতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি আমার বিধানসভা এলাকায় কোনরকম দুর্নীতি, তোলাবাজি বরদাস্ত করব না। ওপেন টেন্ডারে যে কেউ অংশ নিতে পারে। সরকারি নিয়ম মেনেই টেন্ডার হবে। যারা যোগ্য, তারাই টেন্ডার পাবেন।’
সোমবারও পঞ্চায়েত সমিতির গেটের তালা না খোলায় বিভিন্ন প্রয়াজনে দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দিনভর এই হয়রানির মুখে পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।