দেশের খবর
রাজ্যের পরবর্তী রাজ্যপাল নাকভি! শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজেপি সাংসদের টুইট, পরে ডিলিট করে জল্পনা বাড়ালেন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এনডিএ জোটের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে সোমবারই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ধনকরের পর রাজ্যের পরবর্তী রাজ্যপাল কে হতে চলেছেন? রাজ্য রাজনীতিতে সেই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিস্তর জল্পনা। বিজেপি সূত্রের একাংশের মতে, সদ্য রাজ্যসভা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
এই জল্পনার মধ্যেই এক বিজেপি সাংসদের টুইট ঘিরে তৈরি হল আরও বড় জল্পনা। হঠাৎই ওই বিজেপি সাংসদ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হওয়ার জন্য মুক্তার আব্বাস নাকভিকে শুভেচ্ছা জানান। এবং তার কিছুক্ষণ পরই তিনি সেই টুইটটি ডিলিটও করে দেন।
উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনকর। সেই জায়গায় মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনকে বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিজেপি সাংসদ হংস রাজ হংস ট্যুইট করে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার মুখতার আব্বাস নকভিকে বাংলার নয়া রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করায় শুভেচ্ছা।’ তবে কিছুক্ষণ পরেই টুইটটি ডিলিট করে দেন তিনি।
গত রবিবারই রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনকর। তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর পদত্যাগ গৃহীত হতেই সোমবার মনোনয়ন জমা দেন জগদীপ ধনকর। বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী করা হয়েছে মার্গারেট আলভাকে। আগামী ২০ তারিখ মনোনয়নপত্রের পরীক্ষা হবে। ২২ জুলাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৬ আগস্ট দেশে অনুষ্ঠিত হবে উপরাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচন। সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ওইদিনই ঘোষণা হবে ফলাফল। আগামী ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কার্যকাল। যদিও তার আগেই নির্ধারিত হয়ে যাবে দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন।
তবে মুক্তার আব্বাস নাকভি যদি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হন, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতীর্থ ছিলেন। তিনিও যথেষ্ট বিচক্ষণ এবং কুশলী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, জগদীপ ধনকর যেভাবে প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় হেঁটেছেন, সেই পথে হাঁটবেন না নাকভি। আর মুক্তার আব্বাস নাকভিকে রাজ্যপাল করা হলে রাজ্যের কিছু সংখ্যালঘু ভোটও তাদের দিকে আসতে পারে বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবিরের।