দেশের খবর
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হিসেবে ভাসছে এই বর্ষীয়ান নেতার নাম

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ২৫ জুলাই শপথ নেবেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি। ২৯ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু এখনও বিজেপি বা বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থীর জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিক নাম শোনা গেলেও, বিরোধীদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও নাম সেইভাবে শোনা যায়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সমস্ত অবিজেপি দলকে জোটবদ্ধ করতে ১৫ জুন দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই বিকেল তিনটেয় তিনি দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। সেই বৈঠকে বাম-কংগ্রেস সহ দেশের সমস্ত বিরোধীদলের ২২ জন শীর্ষ নেতৃত্বকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। সেই বৈঠকেই আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে এবং রণকৌশল তৈরির আলোচনা হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্টোদিকে, পদ্ম শিবির রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী নির্বাচন করতে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে দায়িত্ব দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের আগেই বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে হঠাৎ করেই শরদ পাওয়ারের নাম নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে এনসিপি প্রধান তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ পাওয়ারকে। জানা গিয়েছে, জাতীয় কংগ্রেসও পাওয়ারকে প্রার্থী হিসেবে চাইছে। গত বৃহস্পতিবারই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় সেই জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শরদ পাওয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হলে কংগ্রেসের সমর্থন থাকবে, এই বার্তাই পৌঁছে দিতেই পাওয়ারের কাছে গিয়েছিলেন খাড়্গে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পাওয়ারের পক্ষে সমর্থন চেয়ে খাড়্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। দিল্লি সূত্রে খবর, গত রবিবার নাকি আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ফোন করেছিলেন শরদ পাওয়ারকে।
একুশের নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুম্বই সফরে গিয়ে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করে ছিলেন। পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কও যথেষ্ট ভালো। তাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শরদ পাওয়ারকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়ে সমস্ত বিরোধী শক্তিকে একজোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া, শরদ পাওয়ার অতীতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা। তাই তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী করা হলে বিরোধী কোনও পক্ষেরই খুব একটা আপত্তি থাকবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।