বাংলার খবর
প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম কালনার বাম নেতার মেয়ের!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এবার বেআইনিভাবে মেয়েকে প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাম নেতার বিরুদ্ধে! ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৭ সালে প্রকাশিত হওয়া দ্বিতীয় মেধা তালিকাকেও বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসি, প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির জন্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই একযোগে আঙ্গুল তুলেছিল বাম ও বিজেপি। এবার সেই অভিযোগই উঠল বর্ধমানের এক বাম নেতার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট গত সোমবার প্রাথমিকে যে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে কালনার বাম নেতা বীরেন্দ্রনাথ বসু মল্লিকের মেয়ে বৈশাখী বসু মল্লিকের। জানা গিয়েছে, বাম আমলে কালনা পৌরসভার সিপিআইএম কাউন্সিলর ছিলেন বীরেন্দ্রনাথ বসু। তিনি বামেদের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-র সহ সভাপতিও ছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁর কন্যা বৈশাখী বসু মল্লিক কালনার ধাপাসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৩ জুন পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ১৭ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের একটি চিঠি পান। সেখানে নাম রয়েছে বৈশাখীরও।
আর এই ঘটনা সামনে আসতেই বাম ও তৃণমূলকে একযোগে বিঁধেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। তিনি বলেছেন, ‘আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজশ রয়েছে। এই ঘটনা তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল। সাধারণ মানুষ সব কিছুই বোঝে। তাদের বোকা বানানো সম্ভব নয়।’ অপরদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস দাবি করেছেন, তৃণমূল কোনও বেনিয়ম করেনি। দলের বদনাম করতেই এসব করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘গোটা বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এখনও তদন্ত চলছে। তাই এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। তবে একটা কথা বলতে পারি, তৃণমূল কোনও বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করার জন্য এইসব করা হচ্ছে। বাম আমলে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। তখন কোনও সিবিআই হয়নি। এখন কথায় কথায় সিবিআই হচ্ছে। আমরা আশা করি, প্রকৃত সত্য সামনে আসবেই।’ সব মিলিয়ে এই ঘটনা নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে।