মহিষাদলের রায় পরিবারের ৩০০ বছরের দুর্গাপুজোর মূল প্রসাদ নারকেল নাড়ু
Connect with us

বাংলার খবর

মহিষাদলের রায় পরিবারের ৩০০ বছরের দুর্গাপুজোর মূল প্রসাদ নারকেল নাড়ু

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মহামারির হাত থেকে বংশকে রক্ষা করতেই শুরু হয় মহামায়ার আরাধনা। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ৩০০ বছরের প্রাচীন রায় পরিবারের দুর্গাপুজো আজও নিয়ম-নিষ্ঠা মেনেই হয়। পরিবারের বর্তমান সদস্যদের কথা অনুযায়ী, আজ থেকে প্রায় তিনশো বছর আগে মহিষাদলের তাজপুর এলাকার রায় পরিবারে মহামারি দেখা দেয়। সেই সময় মহামারির হাত থেকে বংশের মানুষজনদের বাঁচাতে ১৭৭৮ সালে জানকী দেবীর হাত ধরেই শুরু হয় মহামায়ার আরাধনা। সেই থেকেই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে আজও। এই বংশের বর্তমান পরিবারের সংখ্যা ৮৫।

রাজ্যের ভিন্ন জেলায় মহিষাদল তাজপুর গ্রামের রায় পরিবারের মানুষজন বাস করলেও পুজোর কয়েকটাদিন সমস্ত পরিবার মহিষাদলে হাজির হয়। রায় বাড়ির পুজোয় মায়ের অন্যতম প্রসাদ নারকেল নাড়ু। অন্যান্য ফলমূলের পাশাপাশি নারকেল নাড়ু অবশ্যই থাকে। যাঁরা পুজো দিতে আসেন তাঁরা সকলেই নারকেল নাড়ু দিয়েই পুজো দেন। এমনকি প্রত্যেক দর্শনার্থীকেও দেওয়া হয় নারকেল নাড়ু। এখানে তিথি অনুসারে নিয়ম মেনেই পুজো করা হয়। পুজোর ক’দিন রীতি মেনে হয় কীর্তন, কবি গান। গ্রামের মধ্যে পুজো হওয়ায় আশেপাশের গ্রামের বহু মানুষ ভীড় জমান রায় বাড়ির পুজোয়।

মহিষাদল রাজবাড়ীর পুজোর নিয়ম মেনেই এই রায় বাড়ীর পুজো হয়ে থাকে। পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রবীর কুমার রায় জানাচ্ছিলেন, প্রতিপদ থেকেই পুজো শুরু হয়। অতীতে এই পুজোকে ঘিরে বিশাল জাঁকজমক ছিল। দশমীর দিন ১০ মণ চালের ভোগ রান্না হত। গ্রামের সমস্ত বাসিন্দারা খেতে আসতেন। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তার ওপর গত বছর থেকে করোনা। তাই সরকারি বিধি-নিষেধ মেনেই পুজো করতে হচ্ছে। তবে দর্শনার্থীদের জন্য বাড়ির পক্ষ থেকে মাস্ক বিলি, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement