বাংলা গানের স্বর্ণযুগের শেষ প্রদীপটিও নিভে গেল! ৯০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ :  বাংলা গানের স্বর্ণযুগের শেষ প্রদীপটিও নিভে গেল মঙ্গলবার। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ঠিক আট দিন আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন সংগীতজগতের আরেক নক্ষত্র লতা মঙ্গেশকর। এবার চলে গেলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ও।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ৯০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলা সংগীতজগতের কিংবদন্তি শিল্পী। কেন্দ্রের দেওয়া পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাখ্যান করার ঠিক দু’দিন পরেই অর্থাৎ গত ২৬ জানুয়ারি, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীতশিল্পী। পরের দিন অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি তাঁকে গ্রিন করিডোর করে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডেভর্তি করানো হয়। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসায় তৈরি হয় মেডিক্যাল বোর্ড। জানা যায়, বাড়িতেই দু’দিন আগে শৌচাগারে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন শিল্পী। তার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং জ্বর আসার পাশাপাশি শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।

এসএসকেএম-এ ভর্তি হওয়ার পরই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ওইদিনই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে এসএসকেএম থেকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর থেকে এতদিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে সুস্থ্যও হয়ে উঠছিলেন বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ হঠাৎই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তারপরে আর শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি চিকিৎসকদের পক্ষে। কিংবদন্তি শিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার সাংস্কৃতিক মহলে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।