ভাইরাল খবর
জলের নিচে ডুবে থাকে বৃহত্তম একশিলা শিবলিঙ্গ!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেশের বুকে এমন কিছু মন্দির রয়েছে, যার রহস্য আজ অব্দি কোন বিজ্ঞানী সমাধান করতে পারেনি। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এই ঘটনাগুলি কেউ বিশ্বাস করতে চায় না, আবার অনেকেই আধ্যাত্মিকতার টানে এই জায়গাগুলিতে বারবার ছুটে আসেন।
প্রাচীন পুরাণ মতে দক্ষ যজ্ঞের পরে সতী দেহত্যাগ করে ব্রহ্মার কন্যা রূপে ফের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম হয় পম্পা। যৌবনে ফের শিবকেই পতিরূপে পেতে পম্পা ঘোর তপস্যা করেন এবং শেষে তাঁদের বিয়ে হয়। সংস্কৃত ‘পম্পা’ শব্দই কন্নড়ে রূপান্তরিত হয়ে ‘হাম্পে’ হয়ে যায়। আজকে যার নাম হাম্পি। রামায়ণে উল্লিখিত ঋষ্যমুখ , হেমকুট , অঞ্জনাদ্রী এবং গন্ধমাদন পর্বতে ঘেরা এই জায়গাকেই আমরা চিনি বালি ও সুগ্রীবের রাজধানী কিষ্কিন্ধ্যা নামে। বর্তমানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে হাম্পি এক অতি জনপ্রিয় পর্যটনক্ষেত্র।
রামায়ণে উল্লিখিত ঋষ্যমুখ, হেমকুট, অঞ্জনাদ্রী ও গন্ধমাদন পর্বতে ঘেরা এই জায়গাকেই আমরা চিনি বালি ও সুগ্রীবের রাজধানী কিষ্কিন্ধ্যা নামে। বর্তমানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে হাম্পি এক অতি জনপ্রিয় পর্যটনক্ষেত্র। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা পায় হাম্পি। প্রায় ৪৬.৮ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে হাম্পি পর্বতমালা। হাম্পির এক বিস্ময়কর স্থাপত্য হল বদভিলিঙ্গ মন্দির। এখানকার বিখ্যাত লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দিরের কাছেই এর অবস্থান। বদভিলিঙ্গ মন্দিরের প্রধান আরাধ্য হলেন দেবাদিদেব মহাদেব। এই মন্দিরের মূল আকর্ষণ হল শিবলিঙ্গটি। কারণ সারা বছরই এই শিবলিঙ্গ জলের তলায় ডুবে থাকে। তবুও ভক্তদের কাছে এর মাহাত্ম অপরিসীম।
বদভিলিঙ্গ মন্দিরের শিবলিঙ্গ এই এলাকার বৃহত্তম, এর উচ্চতা ৩ মিটার। গর্ভগৃহের কোনও ছাদ নেই। নদী থেকে একটি খাল মন্দিরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। এই কারণে লিঙ্গটি ক্রমাগত জলের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। গর্ভগৃহের ভিতর সবসময়ই তিন ফুটের বেশি জল থাকে। ফলে জলে পা না ভিজিয়ে এই মন্দিরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। শিবলিঙ্গটি কালো পাথর দিয়ে তৈরি। এটি একটি বৃহৎ বৃত্তাকার স্তম্ভ। একে বলে শিবলিঙ্গের ‘যোনি পিঠ’।