বাংলার খবর
শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বাউল শিল্পীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : সাংসারিক অশান্তির জেরে গৃহবধূ বাউল শিল্পীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায়। ইন্দাস থানার ফতেপুর গ্রামের শুভ দাসের সঙ্গে তেরো বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বাঁকুড়া কোতুলপুর থানার নেতাজি মোড় এলাকার স্বনামধন্য বাউল শিল্পী সুশীলা দাসের।
বাঁকুড়া সহ পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বাউল গানের অনুষ্ঠান করতেন শিল্পী সুশীলা দাস। তাঁর এমন পরিণতিতে হতাশ পরিবার, গ্রামবাসী-সহ শিল্পীমহল।অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অছিলায় তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক ভাবে অত্যাচার চালাতেন স্বামী, শাশুড়ি এবং ননদ। শাশুড়ি, ননদ, স্বামীর যাবজ্জীবন সাজার দাবি জানিয়েছে ওই মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন। পারিবারিক সূত্রে খবর, সাংসারিক অশান্তির জেরে বিয়ের পর থেকে প্রায়সই অশান্তি লেগে থাকত সুশীলা এবং শুভ দাসের পরিবারে। সুশীলা এবং শুভ দাসের এক ছেলে এবং এক মেয়ে বর্তমান। প্রায়ই বছর ২৮ এর গৃহবধূ সুশীলা দাসের উপর বিভিন্ন রকম গঞ্জনা দিয়ে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী সহ ননদ এবং শাশুড়ি।
রবিবার সেরকমভাবে সাংসারিক অশান্তির জেরে শারীরিক ভাবে অত্যাচার চালানো হয় গৃহবধূ বাউল শিল্পি সুশীলা দাসের উপর। এরপর রবিবার রাতে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে বাপের বাড়িতে ফোন করেন মৃত গৃহবধূ সুশীলা দাস।অভিযোগ, তারপরই অত্যাচার চরম সীমায় পৌঁছায়। বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, এরপর গায়ে কেরোসিন ঢেলে শাশুড়ি, ননদ এবং স্বামী মিলে পুড়িয়ে মারে তাঁদের মেয়ে সুশীলা দাসকে। গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় সুশীলা বাঁচার জন্য তাঁর স্বামীকে জড়িয়ে ধরলে স্বামী শুভ দাসও গায়ে আগুন লেগে অল্পবিস্তর আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইন্দাস থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর হাসপাতালের পাঠানো হয়।অন্যদিকে, স্বামী শুভ দাস অসুস্থ অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই শাশুড়ি এবং ননদ পলাতক। ইন্দাস থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।