বাংলার খবর
মুখ্যমন্ত্রীর ‘ব্লক’ করার ঘোষণার পরই টুইট করে সংবিধান মনে করালেন রাজ্যপাল!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি টুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে একগুচ্ছ অভিযোগ ও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জোড়া টুইট করলেন রাজ্যপাল।
সংবিধানের ১৫৯ ধারাকে তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল মনে করিয়ে দিলেন, এভাবে রাজ্যপালকে ‘ব্লক’ করে দেওয়াকে সংবিধান সমর্থন করে না। এবং এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে করা টুইট কাউকে ট্যাগ করেননি রাজ্যপাল। বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে করা প্রথম টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর লেখেন, ‘সংবিধানের ১৫৯ অনুচ্ছেদে বলা আছে, সাংবিধানিক রীতিনীতি এবং আইনের শাসনকে ব্লক করা যায় না। এই ধরণের ঘটনা ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত দেশের সংবিধানের প্রতি আস্থা রাখা।’ আরেকটি টুইট করেন ৫টা ৪৫ মিনিটে। সেখানে ভারতীয় সংবিধানের ১৬৭ ধারা তুলে ধরে রাজ্যপাল লেখেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়ে রাজ্যপালকে জানানো মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
‘ কেন রাজ্য সরকার দু’বছর ধরে সমস্ত তথ্য ব্লক করে রেখেছে, তাও জানতে চান রাজ্যপাল। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যপাল আবারও টুইট করে লেখেন, ‘সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সংলাপ এবং সম্প্রীতিই হল, গণতন্ত্রের সারমর্ম এবং চেতনা। এটি সংবিধানের আদেশ। পারস্পরিক সম্মান এবং শ্রদ্ধার মাধ্যমেই তা কার্যকরী করা সম্ভব। আপনার জন্য আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা রয়েছে।’ এই বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিবেচনা করে দেখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, এই টুইটে রাজ্যপাল আরও দাবি করেছেন যে তিনি এই বার্তা সোমবার সকালেই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ এই বার্তাটি দেখেছেন বলেও দাবি করেছেন রাজ্যপাল।