বাংলার খবর
রেণুর পাশে মুখ্যমন্ত্রী, উপযুক্ত কাজ, চিকিৎসার খরচ ও কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করবে সরকার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পাওয়ায় কব্জি থেকে ডান হাত কেটে নিয়েছিলেন স্বামী৷ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা সেই গৃহবধূ রেণুু খাতুনের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেণুর উপযুক্ত চাকরি, চিকিৎসার খরচ এবং কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা সরকার করবে বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই ভবানীপুরে খুন হওয়া গুজরাতি দম্পতির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেতুগ্রামের ওই তরুণীর সঙ্গে গিয়ে দেখা করে এসেছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। ও নার্সিং পরীক্ষায় বাইশতম স্থান দখল করেছিল৷ কিন্তু হাত না থাকায় ওঁর পক্ষে নার্সের কাজ করা কঠিন৷ তাই ও যে কাজটা করতে পারবে সেই রকম কাজের ব্যবস্থা করব। এমন কাজের ব্যবস্থা করব যাতে ও মুখে কথা বলেই সেই কাজ করতে পারে৷ এ ছাড়াও আমরা ওঁর জন্য কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থাও করছি৷’
পাশাপাশি দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে রেণুর চিকিৎসার যাবতীয় খরচও রাজ্য সরকার বহন করবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘ওই তরুণী যেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন সেখানে ৫৭ হাজার টাকা নিয়েছে। এটা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে হয়নি। কেন হয়নি তা দেখছি। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি।’
সরকারি চাকরি পেলে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকেই গত শনিবার রাতে দুই সুপার কিলারকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে বন্ধু সাজিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর কব্জি থেকে ডান হাত কাটান রেণুর স্বামী শের মহম্মদ। মঙ্গলবার ভোরে শের মহম্মদের বাবা সিরাজ শেখ ও মা মেহরনিকা বিবিকে চাকটা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর দু’দিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার রাতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার মুর্শিদাবাদের সীমানা থেকে শের মহম্মদকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। বর্তমানে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রেণু। ইতিমধ্যেই রেণু পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি শের মহম্মদের সঙ্গে সংসার করবেন না এবং স্বামী-সহ দোষীদের কঠোর শাস্তির চেয়েছেন তিনি। অদম্য মনের জেদকে সম্বল করে জীবন যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই বাঁহাতে লেখা অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন রেণু।