বাংলার খবর
সল্টলেকে বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও মেয়ের নিথর দেহ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত ১২ দিনে কলকাতায় তিন মডেল তথা অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই শহরে আবারও এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। শুক্রবার সকালে সল্টলেক সিডি ব্লকের ১৭৫ নম্বর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মা ও মেয়ের জোড়া মৃতদেহ। ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল বিষের শিশি। তাই দেখেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়েই আত্মহত্যা করেছেন দু’জনে। দুই আত্মঘাতীর নাম সুপর্ণা ঘোষ ও স্নেহা ঘোষ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বিধান নগর থানার পুলিশ। ঘরের ভিতর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল থেকেই তাঁদের বাড়ির তিন তলা থেকে অনবরত জল বের হতে দেখেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তার পরই তাঁরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায়কে। তিনি এসেই পুলিশকে খবর দেন। এর পরে পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে, ঘরের বিছানায় পড়ে রয়েছে মেয়ে স্নেহার নিথর দেহ। আর মেঝেতে পড়ে রয়েছে মা সুপর্ণার দেহ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাসখানেক আগেই সুপর্ণার স্বামী প্রয়াত হন। এছাড়াও সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে স্নেহারও। সেই কারণে, মা ও মেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। সেখান থেকেই মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে অনুমান কাউন্সিলর ও প্রতিবেশীদের।
স্থানীয় কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায় জানিয়েছেন, দীর্ঘ রোগভোগের পরই কিছুদিন আগে প্রয়াত হন স্নেহার বাবা। তাঁর একটি সার্ভিস সেন্টার ছিল। স্নেহাও একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। কাউন্সিলর আরও জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটে মা ও মেয়ে প্রতিবেশীদের ধন্যবাদও জানিয়ে গিয়েছেন। নোটে তাঁরা লিখেছেন, ‘অবসাদের সময় প্রতিবেশীরা যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তার জন্য তাদের ধন্যবাদ।’ শুধু তাই নয়, পরলৌকিক ক্রিয়া করতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য ২০ হাজার টাকা এবং আধার কার্ডও রেখে যাওয়ার কথা সুইসাইড নোটে উল্লেখ করে গিয়েছেন মা ও মেয়ে।