রাজ্যে বাড়ছে কালাজ্বরের আতঙ্ক! ১১ জেলায় ৬৫ জন আক্রান্ত
Connect with us

বাংলার খবর

রাজ্যে বাড়ছে কালাজ্বরের আতঙ্ক! ১১ জেলায় ৬৫ জন আক্রান্ত

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: করোনা, মাঙ্কি পক্সের মধ্যেই এবার রাজ্যে হানা দিল কালাজ্বরের আতঙ্ক। রাজ্যে গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। চতুর্থ ঢেউয়ের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কালাজ্বর। গত এক সপ্তাহে রাজ্যের ১১টি জেলায় ৬৫ জন কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে কালা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি বলে জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক।

শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেই বেড়েছে কালাজ্বরের প্রকোপ। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলোতেও কালাজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। কালাজ্বরের জীবাণু মাছির মাধ্যমে ছড়ায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কালাজ্বরের উপসর্গ হল ১৪ দিন ধরে জ্বর থাকবে। শুকিয়ে যাবে চামড়া। কমবে খিদে এবং ওজন। সেই সঙ্গে রক্তাল্পতা, বমি হবে। এই জ্বরের ফলে যকৃত বড় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর এই উপসর্গ গুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। সময় মতো এই রোগের সঠিক চিকিৎসা হলে, ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে একটাই স্বস্তির খবর, এখনও পর্যন্ত এই জ্বরে রাজ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশে দীর্ঘদিন থাকা ব্যক্তিরাই কালাজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে আসা কয়েকজন নাগরিকের শরীরেও কালাজ্বরের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। তবে কলকাতায় এখনও পর্যন্ত এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়নি বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে। এবং এই নজরদারি এখন চলবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার সব রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে দফতরের পক্ষ থেকে।

Advertisement

কালাজ্বরে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পুরো বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক তদারকি করবেন।

কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার রিপোর্টে কালাজ্বরের জীবাণু যদি ধরা পড়ে তাহলে তৎক্ষণাৎ তা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসক মহল মনে করছে রাজ্যে যদি আরও বেশি পরিমাণে রক্ত পরীক্ষা করা হয় তাহলে কালাজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

Advertisement