বিদেশের খবর
জন্মের পর থেকে অন্ধ গোটা গ্রামবাসি! কোন অভিশাপের কারণে এমনটা হচ্ছে তাদের সাথে ?
বেঙ্গল এক্সপ্রেস: আদিম যুগ থেকে মানুষ সভ্যতার দিকে যেন দৌড়ে দৌড়ে এগিয়ে এসেছে। তবুও এই পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্য ভরা জিনিস রয়েছে যে, সেই বিষয়গুলো আজও আমাদের বিস্মিত করে তোলে। এমন কিছু ঘটনা ঘটে রয়েছে যার কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তেমনি এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে, মেক্সিকোর টিলটেপেক নামক একটি গ্রামে। যেখানে জন্মের পর থেকেই অন্ধ হয়ে যায় শিশুরা। শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রে যে এই বিষয়টি লাগু তা কিন্তু না পশু পাখির ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটছে সেখানে। টিলতেপেক গ্রামে ৩০০ জন মানুষের বসবাস। ওখানকার মানুষরা জ্য্যাপটেক উপজাতির। অন্যান্য ছোট গ্রাম দের থেকে এই গ্রামের বিশেষ কোন তফাৎ নেই শুধু প্রত্যেকে দৃষ্টিহীন ওই গ্রামের। ছেলে, মেয়ে, বুড়ো ,বাচ্চা এমনকি পশু পাখি পর্যন্ত। তাই গ্রামটিকে দৃষ্টিহীনদের গ্রাম বলে চিহ্নিত করা হয়। আমাদের এই পৃথিবীর রহস্যময় জায়গাগুলির মধ্যে এই জায়গাটি ও পরে।
আরও পড়ুন-সকাল থেকেই বাংলা জুড়ে আদিবাসীদের ডাকা ১২ ঘন্টার বনধ
কি কারনে এমনটা ঘটছে এখনো তা ঠিক করে জানা যায়নি। তবে সেখানকার মানুষরা মনে করেন যে, তাদের গ্রামে একটি অভিশপ্ত গাছ রয়েছে, সেই গাছটিকে তারা “লাবজুয়েলা” গাছ বলে থাকেন। ওই গাছটির জন্যই নাকি গ্রামে এমন অবস্থা। গ্রামের বড় রা মনে করেন যে, ওই গাছটিকে দেখার পরেই নাকি মানুষ ও পাখি পশু সবাই অন্ধ হয়ে যায়। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেছেন যে এটি শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের কুসংস্কার।
বিজ্ঞানীদের মতে, ওই গ্রামের সকলে অন্ধ হওয়ার পিছনে রয়েছে এক বিশেষ কারণ। ওই গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ প্রজাতির মাছি রয়েছে, যে মাঝিকে বলা হয় “ব্ল্যাক ফ্লাই”। এই ব্ল্যাক ফ্লাই সাধারণ মাছের থেকে কালো এবং সাইজে একটু বড় হয়ে থাকে। এবং এই মাছি অত্যন্ত বিষাক্ত। আর এই মাছি ওই গ্রামবাসীদের অন্ধ হওয়ার কারণ।