আসন্ন ৪ পুরনিগমের ভোটের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন
Connect with us

বাংলার খবর

আসন্ন ৪ পুরনিগমের ভোটের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৪ পুরনিগম আসানসোল, চন্দননগর, বিধান নগর এবং শিলিগুড়িতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।

তারই মধ্যে মঙ্গলবার ৪ কর্পোরেশনের ভোটের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রচারে কোনও রকম ভাবেই লাউড স্পিকার বাজানো যাবে না। রাত ন’টা থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে না। ৭২ ঘণ্টা আগেই ভোটের প্রচার পর্ব শেষ করতে হবে। কোনরকম প্লাস্টিকের ব্যানার-পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ করে শব্দ দূষণ রোধ করার জন্য যাতে রাজনৈতিক দলগুলি সচেতন হয় সে ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নতুন করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ম তথা কোভিডবিধি ভাঙার জন্য এখনও পর্যন্ত তিন জনকে শোকজ করা হয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর তিনজনকে শোকজ করার পরেই সব রাজনৈতিক দলগুলোই নড়েচড়ে বসেছে এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো সব নিয়ম এবং কোভিডবিধিকে সকলে মানতে শুরু করেছেন। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের জন্য যেভাবে মোতায়েন করা হয়েছিল সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ঠিক সেভাবেই আসন্ন চার পুরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বিন্যাসকে একই রকম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর আগামী শুক্রবার চূড়ান্ত হয়ে যাবে বাহিনীর সংখ্যা। পাশাপাশি এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

এখন দেখার বিষয় বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে কত কড়াকড়িভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে চার পুরসভায় নির্বাচন করতে সক্ষম হয়। আগামীকাল হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এপিডেভিট দিয়ে জানানো হবে যে এই চার পুরসভার নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত ভোটকর্মী আছে। ফলে কোনও রকম অসুবিধা নেই ভোট পরিচালনা করতে।এখনও পর্যন্ত যে বিন্যাস পাওয়া গিয়েছে কমিশনের তরফে, তা হল- ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ১ টি বুথ থাকলে ১জন এএসআই, ২জন সশস্ত্র পুলিশ, ১জন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। ২টি বুথের ক্ষেত্রে ১জন এসআই, ২জন সশস্ত্র পুলিশ, ২জন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে।

৩টি বুথের জন্য ১জন এসআই, ১জন এএসআই, ২জন সশস্ত্র এবং ৩জন লাঠিধারী পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ৪টি বুথের জন্য থাকবে ১জন এসআই, ১জন এসআই, ৪ জন সশস্ত্র, ৪জন লাঠিধারী পুলিশ। ৫ টি বুথের ক্ষেত্রে ১জন এসআই, ১জন এএসআই, ৪ সশস্ত্র, ৫ লাঠিধারী পুলিশ থাকবেন। ৬টি বুথের জন্য থাকবে একজন ইন্সপেক্টর, একজন এসআই, ৪ জন সশস্ত্র, ৬জন লাঠিধারী পুলিশ। ৭টি বুথের জন্য ১ জন ইন্সপেক্টর, ১ জন এএসআই, ৪ সশস্ত্র এবং ৭ জন লাঠিধারী পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ৮টি বুথের জন থাকবে ১ জন ইন্সপেক্টর, ২ এএসআই, ৪ সশস্ত্র এবং ৮ লাঠিধারী পুলিশ। ৯টি বুথের জন্য ১ জন ইন্সপেক্টর, ৩জন এএসআই, ৪জন সশস্ত্র এবং ৯ জন লাঠিধারী পুলিশ রাখা হবে। ১০টি বুথের জন্য মোতায়েন করা হবে ১ জন ইন্সপেক্টর, ৪ এএসআই, ৪ সশস্ত্র এবং ১০ জন লাঠিধারী পুলিশ। এই চার পুরসভায় মোট ভোটার ১৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৬২ জন। শিলিগুড়িতে ভোটার ৪ লক্ষ ২ হাজার ৮৯৫ জন। চন্দননগরে মোট ভোটার ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৩৯ জন। বিধাননগরের ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৪০ জন।
আসানসোলে মোট ভোটার ৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৮ জন।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.