বাংলার খবর
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাঁকুড়ায় দুয়ারে সরকার, খুশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অবশেষে কাজ হল। দুয়ারে সরকার এর মাধ্যমে বাঁকুড়ায় শুরু হল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের বিভিন্ন কাজ। কিছুদিন আগেই বাঁকুড়া সফরে এসে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার আধিকারিকদের বেশকিছু বার্তা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে আদিবাসী এলাকায় যাতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা খুব সহজেই পৌঁছে যায়, তার জন্য গ্রামে গিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের দোলাপলাশ ও হাসাপাহাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামে শুরু হয়েছে দুয়ারের সরকারের ক্যাম্প।
সোমবার প্রত্যন্ত গ্রামে দেখা গেল, জয় জোহার প্রকল্প থেকে শুরু করে কাস্ট সার্টিফিকেট এবং জমির মিউটেশনের আবেদন করতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের উপচে পড়া ভিড়। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁরা। জমির মিউটেশন করতে আসা রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম বলছিলেন, ‘আমাদের এখান থেকে ব্লক অফিস ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে। ফলে, বিভিন্ন কাজের জন্য ব্লক অফিসে যেতে আমাদের খুবই সমস্যা হত। কিন্তু এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু হওয়ায় আমরা সেই কাজগুলো এখানে এসে অতি সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যে করে ফেলতে পারছি। এই ক্যাম্পে কৃষক বন্ধু প্রকল্প, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভান্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। মিউটেশন এবং কাস্ট সার্টিফিকেটের কাজ হচ্ছে। সব থেকে বড় কথা ব্লক অফিসে যে সময় লাগতো তার থেকে অনেক কম সময়ের মধ্যেই আমরা এই কাজগুলো পেয়ে যাচ্ছি। অত দূরে ব্লক অফিসে না গিয়ে বাড়ির কাছেই ক্যাম্প হাওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধাই হয়েছে।’
এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচুর মানুষ জমির মিউটেশন করাতে বিএলআরও অফিসে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ছাতনার ব্লক বিএলআরও অফিসের রেভিনিউ অফিসার সোমনাথ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা সবকিছু বুঝতে পারত না বলে জমির মিউটেশন করাতে আসত না। এই ক্যাম্প চালু হওয়ায় প্রচুর মানুষ জমির মিউটেশনের সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসছেন। তারা আমাদের থেকে তথ্য নিয়ে ভালো করে বুঝে যাচ্ছেন। এই ক্যাম্পে ভালোই সাড়া পড়েছে।’ জঙ্গল মহলকে বরাবরই আলাদা গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি সমস্ত জেলা সফরে গিয়ে আদিবাসী মানুষদের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।