খেলা-ধূলা
অন্য পথে ইডেনে প্রবেশ করবেন ক্রিকেটাররা, দু’ঘন্টার জন্য শিথিল শহরের নাইট কারফিউ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দীর্ঘ দু’বছর পর আবার কলকাতায় ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবেন রোহিত শর্মার। জয়পুর ও রাঁচিতে জিতে যাওয়ায় সিরিজ পকেটে পুরে ফেলেছে ভারত।
তাই রবিবারের ম্যাচ নিয়ম-রক্ষার হলেও ক্রিকেটারদের পাশাপাশি মাঠে আগত দর্শকদেরও মানতে হবে একাধিক কোভিড-বিধি। দর্শকদের মাঠে মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে করোনার কারণে এবার প্রতিবারের মতো সিএবি-এর মূল প্রবেশ পথ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ঢুকবেন না দুই দলের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের মাঠে ঢোকার পথ বদল করা হচ্ছে। যেহেতু ক্রিকেটাররা জৈব বলয়ের মধ্যে রয়েছেন, তাই এই পথ বদলের সিদ্ধান্ত। যেহেতু ম্যাচের দিন মূল প্রবেশপথের সামনে ইচ্ছুক সমর্থকদের ভিড় থাকে, তাই সেই জায়গা দিয়ে ক্রিকেটারদের প্রবেশ করানো ঝুঁকির হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন সিএবি কর্তারা। তাই বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিএবি সূত্রে খবর, ১৭ নম্বর গেটের পাশে একটি অস্থায়ী গেট তৈরি করা হয়েছে। সেখান দিয়েই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে ক্রিকেটাররা সরাসরি ড্রেসিংরুমে চলে যাবেন। এই পথটিকে অতি নিরাপত্তাযুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাধারণ দর্শকদের এই চত্বরের ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। তাই এবার আর ক্রিকেটারদের টিম বাস থেকে নামতে দেখতে পাবেন না দর্শকরা। অপরদিকে, এই ম্যাচের কথা মাথায় রেখেই রবিবার কলকাতায় রাতের কারফিউ দু’ঘণ্টার জন্য শিথিল করল রাজ্য সরকার। শনিবার নবান্ন থেকে মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে এই কথা ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার জন্য গোটা রাজ্যে জুড়েই রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জারি রয়েছে নাইট কারফিউ। কিন্তু রবিবার খেলা শেষ হতে হতে রাত ১১টা বেজে যাবে।
আর নাইট কারফিউ জারি থাকলে খেলা শেষে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়বেন দর্শকরা। তাছাড়া মাঠ থেকে হোটেলে ফিরবেন দুই দলের ক্রিকেটাররাও। তাই রবিবার দু’ঘণ্টা ছাড় দিয়ে রাত ১১টার বদলে রাত একটা থেকে শহরে জারি হবে নাইট কারফিউ। ওই সময়ে যানবাহন চলাচলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনার কথা মাথায় রেখে মাঠে আগত দর্শকদের জন্যও বেশ কিছু নিয়ম-কানুন বেঁধে দিয়েছে সিএবি। প্রত্যেক দর্শককে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে হবে। দু’টি আসন অন্তর একটি করে আসন ফাঁকা রাখতে হবে। আসনে বসে থাকাকালীন কিছু সময় অন্তরই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। স্টেডিয়ামের ভিতরে কোনও খাবারের ব্যবস্থা বা স্টল থাকছে না। বাইরে থেকেও কোনও খাবার বা জলের বোতল নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে না। মাঠের ভিতর থেকেই কিনতে হবে জলের পাউচ।