রাজনীতি
পৌরনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট! সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : অনুমান যা ছিল তাই হয়েছে। রাজ্যের ১০৮ টি পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা তার সিদ্ধান্ত গত বারের মতো এবারেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিল আদালত। ১২ ঘন্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচন চলাকালীন কোনও রকম অশান্তি হলে দায়বদ্ধ থাকবে কমিশনই।
পাশাপাশি, আদালতের পক্ষ থেকে ভোট নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন যদি না করা হয়, তার নির্দিষ্ট কারণ লিখিত আকারে কমিশনকে আদালতে জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজি-কে নিয়ে কমিশনকে বৈঠক করার নির্দেশও দিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি পৌরসভায় পর্যবেক্ষক হিসেবে আইএএস অফিসার নিয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিরেক্টর জেনারেলের সাহায্য নিয়ে ১০৮ পৌরসভার বুথ পর্যায়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছে। এরপরই পৌরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
পাশাপাশি, নির্বাচনের প্রতিটি ফুটেজ এবং রেজিস্টার সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। নির্বাচন বাতিল নিয়ে আবেদনকারী চাইলে নতুন করে আবেদন করতে পারে বলেও এ দিন জানিয়েছে আদালত। দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধান প্রকল্পটি দু’টি কোনও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছে কিনা তাও কমিশনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কোথাও কোনও বিধিভঙ্গ হলে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর, করপোরেশনের ভোট বাতিলের যে আবেদন করেছিল বিজেপি, এই মামলায় কোনও রায় দেয়নি আদালত।
তবে, মামলাকারীরা আলাদাভাবে মামলা করতে পারেন বলেও জানিয়েছে আদালত। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ পৌরসভায় নির্বাচন। ফল ঘোষণা ২ মার্চ। অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিজেপির সেই দাবিকে এদিন মান্যতা দিল না আদালত। সবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে বলেই স্পষ্ট রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বিজেপির তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা নিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ নিয়ে চাপানউতোর বাড়ছে রাজ্যে।