বাংলার খবর
রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্য ও রাজ্যপাল সঙ্ঘাত চরমে পৌঁছেছে। বুধবারও একে অপরকে আবারও আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। গত সপ্তাহে বিধানসভায় বিআর আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
তার প্রভাব পড়েছিল ২৬ জানুয়ারি রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও। রাজ্যপালের সঙ্গে সেইভাবে কথা বলতেও দেখা যায়নি। তাপর গত সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই টুইট করে সংবিধানের একাধিক ধারা উল্লেখ করে রাজ্যপাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেন, রাজ্যপালকে ‘ব্লক’ করা অসাংবিধানিক। গত সোমবার সংসদে রাষ্ট্রপতির কাছেও জগদীপ ধনকরকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে আবারও রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা। তিনি রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বলে কটাক্ষ করলেন। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ‘দিল্লি থেকে একট ঘোড়ার পাল পাঠিয়েছে রাজ্য শাসন করতে। ২৬ জানুয়ারি আমি একটা ঘোড়াকে দেখছিলাম, মাউন্টেড পুলিশ।
যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, তারাও জানতে পেরে গেল, ঘোড়ার পাল আছে। আমরা তো আর শিখিয়ে দিইনি। এখন না বলে বসে তৃণমূল শিখিয়ে দিয়েছে। আজকে তারাও প্রতিরোধ করছে। ঘোড়ার পাল ঘোড়ার পালদের প্রতিরোধ করছে। সকাল নেই, সন্ধ্যা নেই, শুধু আমাকে গালাগাল দিয়ে বেরাচ্ছেন। আর আমাকে গালাগাল দিয়ে আমার অফিসিয়াল টুইটারেই পাঠিয়ে দিচ্ছে। দেড় বছর ধরে সহ্য করেছি। বাংলায় গণতন্ত্র নেই, বাংলার শান্তি নেই, বাংলায় মানুষের ওপর বিচার নেই। বাংলায় শুধু খুন, বাংলায় শুধু নারী নির্যাতন, বাংলায় শুধু হিংসা! উনি ঘরে বসে বসে দূরবিন দিয়ে দেখছেন।
জিজ্ঞাসা করুন, উত্তরপ্রদেশে কী হচ্ছে, দেখেছেন? দিল্লিতে কী হচ্ছে, ত্রিপুরা-গুজরাতে কী হচ্ছে দেখেছেন? দেখবার চেষ্টা করেছেন? আমাকে কৈফিয়ত দিতে হবে? মা ক্যান্টিনে ৫ টাকায় গরীব মানুষদের ডিম-ভাত খাওয়াই। তাতেও ওর আপত্তি। বলছে কী করে হবে? কেন হবে? কোথা থেকে টাকা এল? কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে? আরে! উনি বলেন, আমার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। বলি, একটা কাউন্সিলরও তো জীবনে হও নাই। একটা নির্বাচিত কাউন্সিলর হলেও জীবনে বুঝতাম। রাজনীতিতে দশবার দল বদল করেছো। দলবদলু সব। আর আজকে বলে বেরাচ্ছে দেখ লেঙ্গে! মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আপনি কোনও অফিসারকে ডাকতে পারেন না। এটাকে বলে গণতন্ত্র। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশ কমিশনারকে বলছে সকাল ১০টায় এসে দেখা করো। মুখ্যসচিবকে বলছে ১১ টায় এসে দেখা করো। স্বরাষ্ট্র সচিবকে বলছে ১২ টায় এসে দেখা করো। তাজ বেঙ্গলকে বলছে ১টায় এসে দেখা করো। খেতে হবে তো। কোনও কাজ নেই। আইন উনি কত জানেন!’