বাংলার খবর
স্পিকারের তলবে আর হাজিরা নয় সিবিআই-ইডি’র, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সিবিআই ও ইডিকে বিধানসভার অধ্যক্ষ তলব করতে পারেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরের কোনও সমাধান করতে পারল না কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা কোনও নির্দেশ ছাড়াই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দায়ের করা মামলার নিষ্পত্তি করলেন।
সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের যদি ফের বিধানসভার অধ্যক্ষ তলব করেন, তাহলে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাইলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আজ সিবিআই, ইডি’র নতুন কোনও নালিশ শুনতেই রাজি হয়নি হাইকোর্ট। শুননি পর্বের শুরুতেই বিরক্তি প্রকাশ করে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, ‘অনেক হয়েছে, আর নয়। দু’পক্ষকেই বলছি, যথেষ্ট রাজনৈতিক ঝগড়া হয়েছে। মানুষ রায় দিয়ে দিয়েছে। এখন এটা লজ্জাজনক।
এ বার আপনারা এ সব বন্ধ করুন। সব ভুলে কাজে মন দিন। পরবর্তীকালে এই ধরনের কাজ হলে আইন নিজের কাজ করবে।’ নারদ মামলায় স্পিকারের তলবে সিবিআই এবং ইডি-র আধিকারিকদের হাজির হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। আজকের শুনানিতে তার স্বপক্ষে এ বিষয়ে কেরল বিধানসভার স্পিকারের পদক্ষেপ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। তবে বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দায়ের করা এক্তিয়ার বহির্ভূত পদক্ষেপের অভিযোগকেও গুরুত্ব দেননি। সিবিআই এবং ইডি-র আধিকারিকদের স্পিকারের তলব করার এক্তিয়ার আছে কি না, সে বিষয়েও স্পষ্ট কোনও মত জানাননি বিচারপতি।
নারদ মামলায় সিবিআই ও ইডি দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে চার্জশিট দিয়েছিল। সেই নিয়ে বিধানসভার সচিবালয় অভিযোগ করে, রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়কদের চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি, যা বেআইনি। সেই কারণেই স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় ইডি ও সিবিআইকে চিঠি লিখে তলব করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন স্পিকার। কিন্তু, তারা না এসে ওই দিন বিধানসভার সচিবালয়কে একটি চিঠি দেয়। সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হননি অধ্যক্ষ। তাই গত ৪ অক্টোবর তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
সেদিনও বিধানসভায় হাজিরা না দিয়ে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে আলাদা করে চিঠি জমা দিতে যান ইডি ও সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কিন্তু বিধানসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সেই চিঠি গ্রহণ না করে জানানো হয় চিঠি জমা দিতে হবে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে। পরে তাঁরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি জমা দিয়ে আসেন। তারপরই, স্পিকারের তলব করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।