দেশের খবর
বিধানসভায় এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিল পাশ হওয়ার পরই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিএসএফ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মঙ্গলবারই বিধানসভায় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিল পাশ হয়েছে। সেই নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে তুমুল হট্টগোল হয় বিধানসভায়। আর আজ সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিএসএফ।
বুধবার কলকাতার লর্ড সিনহা রোডের কার্যালয় থেকে বিএসএফ-এর এডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘বিএসএফ কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়। তাই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করার প্রসঙ্গই ওঠে না। বিএসএফের প্রধান কাজ হল অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোখা। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলে বিএসএফ। আইন অনুযায়ী বিএসএফ-এর ক্ষমতা সীমিত। বিএসএফ-এর এফআইআর করার ক্ষমতা নেই। তদন্তে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না বিএসএফ। আমাদের রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত আমরা যোগাযোগ বজায় রাখি। তথ্য আদান প্রদান করি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যৌথভাবে সীমান্তে ও রাজ্যের অন্দরে তল্লাশি অভিযানও চালাই।
কেন্দ্র অতিরিক্ত কোনও ক্ষমতা দেয়নি। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কেবলমাত্র এলাকার সীমা ১৫ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আগের মতোই পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে বিএসএফ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা বিএসএফ-এর কাজ নয়। দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়াই বিএসএফ-এর প্রধান কাজ।’ গত ২১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে সীমান্ত লাগোয়া একাধিক রাজ্যে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করার কথা ঘোষণা করে। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়।
পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ করে। তাদের দাবি, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করার চক্রান্ত করছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত বলে গতকাল বিধানসভায় প্রতিবাদী বিল পাস করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই নিয়ে গতকাল বিধানসভায় ভোটাভোটিও হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি।