বাংলার খবর
বুকের উপর গীতাঞ্জলি, শেষ যাত্রাতেও তরুণ মজুমদারের সঙ্গী রবীন্দ্রনাথ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিনোদন জগতে ইন্দ্রপতন। সোমবার সকালে প্রয়াত হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার। বর্ষীয়ান এই পরিচালকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। প্রবীণ পরিচালকের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপণ করেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, কলাকুশলীরা।
জানা গিয়েছে, পরিচালকের শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে তাঁর মরদেহ দাহ করা হবে না। শিল্পীর মরদেহ দান করে দেওয়া হবে SSKM হাসপাতালে। হাসপাতালের তরফেও শুরু হয়ে গিয়েছে দেহ গ্রহণের প্রক্রিয়া। পাঁচবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালকের শেষযাত্রায় তাঁর বুকের উপর রাখা হয়েছে ‘গীতাঞ্জলি’। যার ছবিতে রবীন্দ্রনাথের গান পেয়েছে এক অন্য মাত্রা শেষ যাত্রায় সেই গানকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন তরুণ মজুমদার। ‘দাদা’ নেই! রেখে গেলেন ‘কীর্তি’।
আরও পড়ুন: তরুণ মজুমদারের প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বর্ষীয়ান পরিচালকের শেষ ইচ্ছানুসারে তাঁর দেহ দানের জন্য আনা হয়েছে SSKM হাসপাতালে। প্রয়াত পরিচালকের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, তাঁর দেহ এবং কর্নিয়া হাসপাতালের হাতে তুলে দেওয়া হবে। শিল্পীর সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েই এই কাজ করা হচ্ছে।
‘চাওয়া-পাওয়া’ দিয়ে শুরু হলেও তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলি হল-‘পলাতক’ (১৯৬৩), ‘বালিকা বধূ (১৯৬৭), ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ (১৯৭৩), ‘গণদেবতা’ (১৯৭৮), ‘দাদার কীর্তি’ (১৯৭৯), (১৯৮৫), ‘আলো’ (২০০৩)।
আরও পড়ুন: পাখির চোখ তেলেঙ্গনা! হায়দরাবাদে হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে BJP-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক
তাঁর গল্পে দর্শক দেখেছে সাহিত্যের সেরা এক সময়৷ তরুণ মজুমদারের পরিচালনাতেই বাংলা চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পরিচিত হন তাপস পাল, দেবশ্রী রায়, মহুয়া রায়চৌধুরীর মতো শিল্পীরা। বাংলা সাহিত্যনির্ভর ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধুর্য ছিল তরুণ মজুমদারের ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘কাচের স্বর্গ’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘গণদেবতা’ এবং ‘অরণ্য আমার’ ছবিগুলি জাতীয় পুরস্কার পায়।