বাংলার খবর
দু’বছর নিখোঁজ থাকা ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রায়গঞ্জে চাঞ্চল্য!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রায় দু’বছর নিখোঁজ থাকার পর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মৃত ওই ব্যাক্তির নাম অসীম দাস ( ৪১)। বাড়ি রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রামে। পাঞ্জিপাড়া থেকে ভাইয়ের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।
ভাইয়ের মৃতদেহ সৎকার করার মতো তাঁদের কাছে অর্থ নেই বলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দ্বারস্থ হয় মৃত অসীম দাসের দাদা নান্টু দাস। বিধায়ক এই খবরটি জানার পর তড়িঘড়ি অসীমবাবুর মৃতদেহ আনার ব্যবস্থা করে দেন। বিধায়কের এই উদ্যোগে খুশি মৃত অসীমবাবু পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিন গ্রামের বাসিন্দা নান্টু দাসের ভাই অসীম দাস দু’বছর আগে নিখোঁজ হন। ভাইয়ের নিখোঁজের পরে নান্টু দাস বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও ভাইকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। চলতি মাসের ২০ তারিখে পাঞ্জিপাড়ায় তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ পড়ে আছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে খবর পান।
এই খবর পাওয়া মাত্রই গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মৃত অসীমবাবুর দাদা নান্টু দাস। তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ আনার জন্য বিধায়ককে জানান। তখন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী তড়িঘড়ি অসীমবাবুর মৃতদেহ আনার ব্যবস্থা করে দেন। শনিবার রাতে অসীমবাবুর মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত অসীমবাবুর দাদা নান্টু দাস জানিয়েছেন, ‘ভাইয়ের মৃতদেহ আনার জন্য রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে অনুরোধ করলে তিনি তড়িঘড়ি আমার ভাইয়ের মৃতদেহ আনার ব্যবস্থা করেন।’ বিধায়কের এই উদ্যোগে খুশি মৃত অসীমবাবুর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের স্বামী রাজু দাস বলেন, ‘রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী সবার পাশে সব সময়ের জন্য থাকেন। সবার যেমন উপকার করেন। তিনি আমাদের গ্রামের এই অসহায় নান্টু দাসের ভাইয়ের মৃতদেহ আনার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় খুশি সমস্ত গ্রামবাসী।’