রাজনীতি
বিজেপির কমিশন ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : আসন্ন পৌর ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা, প্রত্যাহারের হুমকি, বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে গুলি, মারধর, সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা কমিশনের অফিসে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ।
তারপরই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটক করা হয় বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকেও। বিজেপির অভিযোগ, পৌরভোটের আগে রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে গুলি চালানো এবং কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে তুলেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির অভিযোগ, সবকিছু জেনেশুনেও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করে বিজেপি। এই অভিযান ঘিরে আগে থেকেই সতর্ক ছিল পুলিশ। তাই বিজেপি যুব মোর্চার মিছিল কমিশনের সামনে পৌঁছতেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ।
বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা সেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগিয়ে যেতে গেলেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এরপরই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বেশকিছু বিক্ষোভকারীকে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। কিন্তু তাতেও দমেননি বিক্ষোভকারীরা। এরপরই কমিশনের সামনে রাস্তার ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেছেন, ‘আমরা কেউ পাগল নই। আমরা এখানে প্রত্যেকেই শিক্ষিত। আমাদের কীভাবে ধাক্কা দিল পুলিশ? আমাদের গায়ে হাত দেওয়ার বা গ্রেফতার করার আগে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত যে কী কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে? পুলিশ কার হয়ে কাজ করছে, সবাই জানে। হাইকোর্টের নির্দেশ আমরা কমিশনকে জানাতে এসেছিলাম। আমাকে গ্রেফতার করা এত সহজ নয়।’