দেশের খবর
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হল শূকরের কিডনি!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল নিউইয়র্ক সিটির এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গন হেলথ মেডিক্যাল সেন্টারের সার্জেনরা । জানা গিয়েছে, একজন রোগীর কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা, খোঁজা-খুঁজির পরও কিডনি জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তখনই ওই মেডিক্যাল সেন্টারের সার্জেনরা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। ওই রোগীর শরীরে শূকর অর্থাৎ সোজা কথায় শুয়োরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়ছেন। জানা গিয়েছে অস্ত্রোপচারও সফলভাবে হয়েছে। ওই ব্যক্তির শরীরে শূকরের কিডনি সঠিক ভাবেই কাজ করছে।
ওই ব্যক্তি যদি শূকরের কিডনি নিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন, তাহলে এনওয়াইইউ-এর চিকিৎসকরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে সারা বিশ্বের বুকে একটা অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এনওয়াইইউ- এর চিকিৎসক এবং সার্জারি দলের প্রধান ডঃ রবার্ট মন্টগমেরি এই অস্ত্রোপচার নিয়ে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘এক রোগীর শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। রোগীর হার্ট এবং অন্য অঙ্গ এখনও সঠিক ভাবে কাজ করছে। রোগীর পরিবারের অনুমতি নিয়েই এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।’ শূকরের কিডনি প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে দুই-তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখেন। সেখানে দেখা যায় কিডনি সঠিক ভাবে কাজ করছে।
রোগীর শরীরে এখনও কোনও অসুবিধা ধরা পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে রোগীর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা স্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের পর দেখা যাচ্ছে ওই ব্যক্তির শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গিয়ছে। অর্থাৎ ওই রোগীর শরীর শূকরের কিডনি গ্রহণ করেছে। মানব দেহের কিডনি তো বটেই আরও অনেক অঙ্গের ঘাটতি রয়েছে। অঙ্গের অভাবে প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। অঙ্গের ঘাটতি মেটাতেই বিজ্ঞানীরা বিকল্প হিসেবে শুয়োর নিয়ে অনেকদিন ধরেই গবেষণা করছেন। অবশেষে তা সাফল্যের মুখ দেখল বলে মনে করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে অঙ্গের অভাবে মানুষের মৃত্যু এবার থেকে হয়ত রোখা যাবে।