জলের স্রোতে ভেসে গেল বাঁশের সাঁকো, দুর্ভোগে ফালাকাটার একাধিক গ্রামের মানুষ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অবিরাম বৃষ্টিতে জলের স্রোতে ভেসে গেল ধূপগুড়ি এবং ধনীরামপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র যোগাযোগ রক্ষাকারী বাঁশের সাঁকো। ফলে বেশ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের নদীগুলোতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। আর তাতেই বৃহস্পতিবার ভেসে গিয়েছে স্থানীয় ডুডুয়া নদীর উপর তৈরি বাঁশের সাঁকো। এর ফলে ধূপগুড়ি ও ফালাকাটার একাধিক গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিবছরই বর্ষার সময় জলের স্রোতে ভেসে যায় বাঁশের সাঁকোটি। আর প্রতিবারই স্থানীয় বাসিন্দারাই টাকা তুলে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেন। সাঁকো জলে ভেসে গেলে টাকা দিয়ে বিপজ্জনকভাবে নৌকা নিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। তবে এ বছর ডুডুয়া নদীতে জল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে নৌকা নিয়ে পারাপার করা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। স্বাভাবিক ভাবেই ফালাকাটা ব্লকের খগেনহাট ও ধূপগুড়ি ব্লকের একটা বড় অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ওই সমস্ত এলাকার গ্রামবাসীরা।

বাঁশের সাঁকো ভেসে যাওয়ায় সেখানকার মানুষজনকে জিনিস কেনা-বেচার জন্য অনেকটা ঘুরপথে ধূপগুড়ি সদরে যেতে হয়৷ এবারও তার অন্যথা হবে না। ফলে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই নদীর উপর পাকা সেতুর দাবি তাদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু, স্থানীয় প্রশাসনকে তাঁদের সমস্যা ও দাবির কথা বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ফলে প্রতিবারই বর্ষা এলেই তাঁদের ভোগান্তি শুরু হয়। দুর্ভোগ এবং বিপদ নিয়েই তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা।