বিক্ষোভে ছাড় পেল না অ্যাম্বুলেন্স, পথেই মৃত্যু শিশুর
Connect with us

বাংলার খবর

বিক্ষোভে ছাড় পেল না অ্যাম্বুলেন্স, পথেই মৃত্যু শিশুর

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : বিক্ষোভ যদি মানুষের আবেগের জন্য হয়, বিক্ষোভ যদি প্রতিবাদের ভাষা হয়, তাহলে তা প্রকাশ করতে গিয়ে মানবিকতাই কি ভুলে যায় মানুষ? এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল নদীয়ার কৃষ্ণনগর। আগের রীতি ছিল বিসর্জনের সময় বেয়ারাদের কাঁধে চড়েই দেবিকে নিয়ে যাওয়া হত। জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই নিয়ম চন্দননগরে চালু থাকলেও কৃষ্ণনগরে এই নিয়ম গত বছর থেকে বাতিল করেছে প্রশাসন।

সেই নিয়ম চালু করার দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল থেকে কৃষ্ণনগরের ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে শুরু হয় বিক্ষোভ। কয়েকশ মানুষ এই বিক্ষভে শামিল হয়। টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। অবরোধের জেরে ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গ গামীপুর বহু ট্রাক-বাস আটকে পড়ে। ঠিক একই রকম ভাবে আটকে পড়ে মালদা থেকে কলকাতা গামী একটা অ্যাম্বুলেন্স। আর ওই অ্যাম্বুলেন্সে আটকে পড়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। সাত বছরের অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাাতালে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন পরিবারের লোকজন। ছুটে আসে কোতয়ালি থানার পুলিশ। সাত বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

মৃত শিশুটির পরিবারের দাবি, বিক্ষোভকারীদের অনেক অনুরোধ করা সত্বেও তারা অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার রাস্তে ছাড়েনি। বিক্ষোভ কাটিয়ে কিছুটা পথ এগিয়ে গেলেও পিডব্লিউডি মোড়ের কাছে অ্যাম্বুলেন্স আটকে যায়। পুলিশ এসে দ্রুত ওই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই পুলিশ বিক্ষোভ তুলে দিয়ে সাত জনকে আটক করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কেন অ্যাম্বুলেন্স দেখেও ছাড়পত্র মিলল না? পুলিশ যথাসময়ে কেন এল না? প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন একাধিক। তবে তার সদুত্তর কারও কাছে নেই।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.