দেশের খবর
বেছে-বেছে মহিলাদের খুন করাই নেশা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সিরিয়াল কিলারের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মানুষ মারাই নেশা তার। ৪৭ বছরের জীবনে এ-পর্যন্ত মানুষ খুন করেছে ১৭টি। নিহতরা প্রত্যেকেই ছিলেন মহিলা। কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলারকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত।
জানা গিয়েছে, তেলেঙ্গানার জোগুলাম্বা-গদওয়াল জেলার একটি আদালত ইয়েরুকালী শ্রীনু (৪৭) নামের ওই কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তিনি একা নয়, এই ঘটনায় তার সহযোগী হিসেবে থাকার অপরাধে পুলিশ ইয়েরুকালী শ্রীনুর স্ত্রীকেও গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মদ্যপ ইয়েরুকালী শ্রীনু জোগুলাম্বা-গদওয়াল জেলার একটি পানশালায় নিয়মিত মদ্যপান করতে যেত। সেখানে যেসমস্ত মহিলারা আসত, তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করত। বেছে-বেছে মহিলাদেরই টার্গেট করত সে। কারণ, খুব সহজেই মহিলাদের আকৃষ্ট করতে পারত সে। এরপর মহিলাদের নিয়ে বিভিন্ন পানশালায় ঘোরার পর তাঁদের হত্যা করত সে। শুধু মেরেই ক্ষান্ত থাকত না অভিযুক্ত। মৃতা ওই মহিলাদের গা-থেকে যাবতীয় গয়না খুলে নিয়ে চম্পট দিত সে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে খুন করালেন স্ত্রী!
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই একটি হত্যা মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন এবং বৃহস্পতিবার চিট্টি আলিভেলাম্মা (৫৩) হত্যার জন্য তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলারকে ২০১৯ সালে আলিভেলাম্মার হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, তিনি গত এক দশকে আরও ১৬ জন মহিলাকে হত্যা করেছেন। এই ঘটনায় শ্রীনুর স্ত্রী সালাম্মাকেও চুরি যাওয়া সম্পত্তি মজুদ করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শ্রীনু পানশালা থেকে মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাঁদের ফাঁকা নির্জন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যেতেন। সেখানে গিয়ে তাঁদের আরও মাদকদ্রব্য খাইয়ে বেহুঁশ করে মেরে ফেলত সে। মানুষ খুন করার পরও নির্বাক থাকত সে, এমনকি খুনের পর মৃতদের শরীর থেকে সোনার জিনিসপত্র লুঠ করতে পিছুপা হত না সে।
আরও পড়ুন: পূর্ববর্তী সরকাররা প্রযুক্তির ব্যবহারে ভয় পেত, মোদির নিশানায় বিরোধীরা
শুধু তাই নয়, পুলিশের খাতায় এর আগেও তার নামে নিজের ভাইকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। এরপর আলিভেলাম্মার হত্যার ঘটনার তদন্তে নেমে মূল কালপিটকে গ্রেফতার করে তেলেঙ্গনা পুলিশ। অবশেষে চলতি বছরের মে মাসে অভিযুক্ত শ্রীনুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।