বিনোদন
ছবির প্রমোশনে তিলোত্তমায় ‘Team RRR’

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অবশেষে সিনেমাপ্রেমীদের জন্য হতে চলেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আগামী ২৫ মার্চ মুক্তি পেতে চলেছে ‘Team RRR’। ছবি মুক্তির আগে তার প্রমোশনে এবার তিলোত্তমায় এসে প্রচার সারলেন বাহুবলী খ্যাত বিখ্যাত পরিচালক এস এস রাজামৌলি এবং এই ছবির দুই মুখ্য অভিনেতা রামচরণ এবং জুনিয়র এনটিআর।
বড় পর্দায় ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৫ মার্চ। বাহুবলী খ্যাত বিখ্যাত পরিচালক এস এস রাজামৌলি এবার তিলোত্তমায়। তিনি শুধু একা নন। সঙ্গে এসেছেন পুরো আর আর আর টিম। ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন তাঁরা। ফেয়ারলি প্লেসে উপস্থিত হয় টিম আর আর আর। উদ্দেশ্য তাঁদের ছবির প্রমোশন।
কাঠফাটা রোদে যখন শহরের তাপমাত্রা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের, তখনই যেন হাওড়া ব্রিজেকে মধ্যমণি করে ট্রিপল আর লেখা টি-শার্ট পড়েই ধরা দিলেন পরিচালক এস এস রাজামৌলি এবং দুই অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর এবং এনটিআর। পুরো দেশ জুড়ে তাঁরা ছবির প্রমোশন চালাচ্ছেন। কলকাতায় আসার আগেই স্ট্যাচু অফ ইউনিটির তলায় দাঁড়িয়ে ছবির প্রচার সেরে এসেছেন এসএস রাজামৌলি এবং ছবি দুই তারকা রামচরণ আর জুনিয়র এনটিআর।
আরও পড়ুন: সামনে এল দেবের নতুন ছবি ‘কিসমিস’ এর ট্রেলার, শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে ‘কিসমিস’
রাজামৌলির শেষ ছবি বাহুবলি যে পরিমাণ সাফল্যের রেকর্ড ছুঁয়েছিল সেই জন্য পরিচালককে ঘিরে দেখা গেল আলাদা উন্মাদনা। কলকাতার পরে ছবির প্রচারে যাবেন বেনারস এবং দুবাইতে। কলকাতা কী একটু স্পেশাল? প্রশ্ন করাতেই চওড়া হাসি ছবির নির্মাতার চোখে-মুখে। রাজামৌলি জানালেন অজয় দেবগন, আলিয়া ভাট এবং অলিভিয়া মরিচকেও ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে। ছবির প্রমোশনের একেবারেই হিরোর মতো উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল পরিচালক এস এস রাজামৌলির। ডার্ক ধূসর রঙের শার্ট এবং কাঁচাপাকা দাড়িতে রোদচশমা পরে হিরোর মত সামনে আসেন পরিচালক, তার একপাশে লাল শার্ট পরে দাঁড়িয়ে ছিলেন রামচরণ আর এক পাশে কালো ব্লেজার পড়ে জুনিয়র এন টি আর।
আরও পড়ুন: মাত্র ২৪-এ না ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘গাল্লিবয়’ খ্যাত র্যাপার ধর্মেশ
তিন তারকাকে এক ফ্রেমে পেয়ে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায় সকলের মধ্যে। মুহুর্তের মধ্যে সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গঙ্গার পাড়ে তখন উপচে পড়া ভিড়। হাওড়া ব্রিজ থেকে জনপ্রিয় তারকাদের একবার একঝলক দেখার চেষ্টায় প্রতীক্ষা ভক্তদের। তাঁদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। শেষে সবাই জানালেন কলকাতা তাঁদের সবচেয়ে প্রিয় শহর। কলকাতার মানুষ তাঁদের কাছে খুব প্রিয়। অনুরোধ করলেন সকলকে ছবিটি দেখার।