নিমন্ত্রণ হয়নি সাধের অনুষ্ঠানে, বিদ্যালয়ের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়ালেন শিক্ষিকারা
Connect with us

বাংলার খবর

নিমন্ত্রণ হয়নি সাধের অনুষ্ঠানে, বিদ্যালয়ের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়ালেন শিক্ষিকারা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এক শিক্ষিকাকে সাধ খাওয়ানো হয়েছে। তাতে কয়েকজন শিক্ষিকাকে বাদ দিয়ে। এই অভিযোগে স্কুলের মধ্যেই অশান্তিতে জড়ালেন শিক্ষিকারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান প্রধান শিক্ষিকা। ঘটনার নিন্দা করে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে স্কুল পরিচালন কমিটি।

জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্কুলের ভিতরেই এক সহ শিক্ষিকাকে সাধ খাওয়ানো নিয়ে বচসার সূত্রপাত। গত বুধবার শ্রীরামপুর মাহেশে পরমেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে এক সহ শিক্ষিকাকে সাধ খাওয়ানো হয়। স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকাকে বাদ দিয়েই চলে খাওয়া দাওয়া। পরদিন ওই বাদ যাওয়া শিক্ষিকারা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিঠু মৈত্রর কাছে কৈফিয়ত চাইতে যান। তখনই অন্যান্য সহ শিক্ষিকাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। অফিস ঘরের ভিতরে চিৎকার চেঁচামেচিতে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরী হয়। ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে যান এবং অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলর তিয়াসা মুখোপাধ্যায় ঘ্টনাস্থলে যান। এদিকে অসুস্থ ওই প্রধান শিক্ষিকাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুলের মধ্যে এই ধরণের ঘটানায় সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই অনুব্রতকে CBI তলব, নিজাম প্যালেস হাজিরার নির্দেশ

এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিঠু মৈত্র বলেন, ”এর আগেও একজন শিক্ষিকাকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো নিয়ে গন্ডোগোল হয়েছিল। তাই আমাকে সাধের কথা বললেও আমি তাতে অংশগ্রহন করিনি। ২০০২ সাল থেকে স্কুলে আছি কোনও দিন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।সেদিন এমন পরিস্থিতি তৈরী হল স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছি।” 

আরও পড়ুন: অধ্যাপকদের সঙ্গে বসেই দেখা যাবে পর্নোগ্রাফি! নয়া পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে কলেজে

Advertisement

এই বিষয়ে পরমেশ্বরী স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তিয়াসা মুখোপাধ্যায় বলেন, ”খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। খবর পাওয়ার পর আমি স্কুলে গিয়ে দেখি বড়দির হাত কাঁপছে। তার প্রেসার বেড়ে গিয়েছে। এধরনের ঘটনা কখনই বাঞ্ছনীয় নয়। স্কুলে মিটিং করে একটা কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মাহেশে এত ভালো একটা স্কুলে পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া চলবে না।” যদিও যাঁদের নিয়ে এত কাণ্ড  অভিযুক্ত শেঈ সব সহ শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ মুখ খুলতে চাননি।